‘সর্বজনীন পেনশন’ চালু হচ্ছে এ মাসেই

bangladesh-bank.jpg

‘সর্বজনীন পেনশন’ চালু হচ্ছে এ মাসেই 

বিশেষ প্রতিবেদকঃ এ কর্মসূচির আওতায় ১৮ থেকে ৫০ ঊর্ধ্ব বয়সিদের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা থাকবে। মাসিক চাঁদা হতে পারে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা আর সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কর্মসূচি পরিবর্তন এবং চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ থাকছে। পেনশন ব্যবস্থায় নগদ টাকায় কোনো লেনদেন হবে না। সব কর্মকাণ্ড হবে অনলাইনে। সেক্ষেত্রে বিকাশ, নগদ ছাড়া অন্যান্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ব্যবহার করে চাঁদা দেওয়া যাবে।

আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। এগুলোর নাম হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হবে।

সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে এ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পেনশন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। এর পর কর্তৃপক্ষের জন্য একটি স্বতন্ত্র অফিস প্রতিষ্ঠা করা হবে।

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকেই দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে। নানা জটিলতার কারণে কিছুটা দেরি হলেও সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু হচ্ছে।

জানা গেছে, পেনশন কর্মসূচি চালুর আগে পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) হবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের। এগুলো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড। ইতিমধ্যেই এসব এমওইউর খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে টেকসই পেনশন কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩’ প্রণয়ন করেছে সরকার।

আইন অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে ১৮ বছর বা ৫০ বছরের বেশি বয়সি সব বাংলাদেশি নাগরিক পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন; যিনি ধারাবাহিক ভাবে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করবেন তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন এবং চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে আজীবন পেনশন প্রদান করা হবে; পঞ্চাশোর্ধ্বরা ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে যে বয়সে উপনীত হবেন সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন; প্রত্যেক চাঁদাদাতার জন্য একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র পেনশন হিসাব থাকবে এবং কর্মস্থল পরিবর্তন হলেও নতুন হিসাব খোলার প্রয়োজন হবে না; কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সর্বনিম্ন চাঁদার হার নির্ধারণ করা হবে; মাসিক চাঁদা প্রদানে দেরি হলেও বিলম্ব ফিসহ পেনশন হিসাব চালু রাখা যাবে; ৭৫ বছরের আগে কোনো পেনশনার মারা গেলে পেনশনারের নমিনি অবশিষ্ট সময়কালের পেনশন প্রাপ্য হবেন; ১০ বছর চাঁদা প্রদানের আগে কোনো পেনশনার মারা গেলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে প্রদান করা হবে; কোনো প্রয়োজনে চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমাকৃত অর্থেও সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে নেওয়া যাবে এবং নির্ধারিত ফিসহ তা পরিশোধ করতে হবে; বিনিয়োগ বিবেচনায় চাঁদা কর রেয়াতযোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ

আরও সংবাদ পড়ুন।

বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন দুই ডেপুটি গভর্নর পেতে যাচ্ছে

আরও সংবাদ পড়ুন।

ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top