ব্যাংকারদের সর্বনিম্ন বেতন, নির্দেশনা নিয়ে রুল

Picsart_22-01-22_17-15-26-293.jpg

ব্যাংকারদের সর্বনিম্ন বেতন, নির্দেশনা নিয়ে রুল

বিশেষ প্রতিবেদকঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে বেঁধে দেয়া বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো সংক্রান্ত দুটি সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

সোমবার এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এই রুল জারি করে।

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা নির্ধারণ করে একটি সার্কুলার জারি করে এবং তা সংশোধন করে পরবর্তীতে ১ ফেব্রুয়ারি আরেকটি সার্কুলার দেয়া হয়।

ওই নির্দেশনায় ব্যাংকের জেনারেল (সাধারণ) শাখার কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন ৩৯ হাজার এবং ক্যাশ শাখার কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন ৩৬ হাজার টাকা বেতন-ভাতা দিতে বলা হয়।

এছাড়া শিক্ষানবিশ কর্মকর্তাদের ন্যুনতম বেতন সাকুল্য ২৮ হাজার টাকা এবং ক্যাশ কর্মকর্তাদের ২৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ দুটি সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন পুঁজিবাজারের ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগকারী ফরহাদ বিন হোসেন; যিনি সুপ্রিম কোর্টেরও আইনজীবী।

আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাসুম ও সাইফুর রহমান রাহী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সাইফুর জানান, বাণিজ্যিক ব্যাংকের বেতন-ভাতা নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করতে পারে কিনা, সে বিষয়ে মতামত জানতে আদালত চারজন অ্যামিচি কিউরি নিয়োগ দিয়েছে।

এরা হলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও প্রবীর নিয়োগী।

সাইফুর বলেন, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাইভেট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনাগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে। কিন্তু বেতন-ভাতার কাঠামো নির্ধারণ করে দিতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ব্যাংক-কোম্পানি আইন- ১৯৯১ এর ৪৫(১)(ঘ) ধারার বিধান অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে তারা সার্কুলার জারি করেছে।

কিন্তু তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বেতন-ভাতা কাঠামো নির্ধারণে আদৌ বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না, সে বিষয়ে মতামত জানতেই রুল জারির পাশাপাশি আদালত চারজন অ্যামিচি কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরের সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ করা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আলাদা করে দেয়া হয়েছিল।

গত ২০ জানুয়ারি দেয়া সার্কুলারে চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top