ব্যাংকারদের সর্বনিম্ন বেতন, নির্দেশনা নিয়ে রুল
বিশেষ প্রতিবেদকঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে বেঁধে দেয়া বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো সংক্রান্ত দুটি সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
সোমবার এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এই রুল জারি করে।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা নির্ধারণ করে একটি সার্কুলার জারি করে এবং তা সংশোধন করে পরবর্তীতে ১ ফেব্রুয়ারি আরেকটি সার্কুলার দেয়া হয়।
ওই নির্দেশনায় ব্যাংকের জেনারেল (সাধারণ) শাখার কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন ৩৯ হাজার এবং ক্যাশ শাখার কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন ৩৬ হাজার টাকা বেতন-ভাতা দিতে বলা হয়।
এছাড়া শিক্ষানবিশ কর্মকর্তাদের ন্যুনতম বেতন সাকুল্য ২৮ হাজার টাকা এবং ক্যাশ কর্মকর্তাদের ২৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ দুটি সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন পুঁজিবাজারের ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগকারী ফরহাদ বিন হোসেন; যিনি সুপ্রিম কোর্টেরও আইনজীবী।
আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাসুম ও সাইফুর রহমান রাহী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সাইফুর জানান, বাণিজ্যিক ব্যাংকের বেতন-ভাতা নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করতে পারে কিনা, সে বিষয়ে মতামত জানতে আদালত চারজন অ্যামিচি কিউরি নিয়োগ দিয়েছে।
এরা হলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও প্রবীর নিয়োগী।
সাইফুর বলেন, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাইভেট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনাগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে। কিন্তু বেতন-ভাতার কাঠামো নির্ধারণ করে দিতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ব্যাংক-কোম্পানি আইন- ১৯৯১ এর ৪৫(১)(ঘ) ধারার বিধান অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে তারা সার্কুলার জারি করেছে।
কিন্তু তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বেতন-ভাতা কাঠামো নির্ধারণে আদৌ বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না, সে বিষয়ে মতামত জানতেই রুল জারির পাশাপাশি আদালত চারজন অ্যামিচি কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরের সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ করা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আলাদা করে দেয়া হয়েছিল।
গত ২০ জানুয়ারি দেয়া সার্কুলারে চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়।