ঘর পোড়ার অভিযোগ নিচ্ছে না ওসি! নিচুপ স্থানীয় প্রশাসন
জেলা প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার, সিরাজপুর গ্রামের মৌলবী নুরুল হক সাহেবের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখল করছে ওয়াসিম ইমাম নামের তৃতীয় শ্রেনীর এক কর্মচারী। ওয়াসিম ইমামের বাবা, মৃত পিতা আবু তাহের মোঃ আবদুর শকুর মাতা, মৃত নূরজাহান।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে
স্থানীয় ভাবে প্রভাব বিস্তার করে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মৃত মোঃ আমানত উল্যাহ সিরাজী নামের জমি জোর জবরদস্তি করে দখল করার পায়তারা করছেন।
যে জমির বর্তমান মালিক আমানত উল্যাহ সিরাজীর ছেলে ও মেয়েরা। আমানত উল্যাহ সিরাজী’র সন্তানরা সরকারের গুরুত্বপূর্ন দপ্তরে চাকুরী করেও বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন!
আমানত উল্যাহ সিরাজী’র জমির দাগ নং -৩১, ৫০-৩২, ৫০-৪৫দাগ নাম্বার ৫০-৩০ খতিয়ান ৬০৬ এই জমি সম্পর্কে আদালতে মামলা রুজু করা আছে। কিন্তু যে সম্পর্কে আদালতে মামলা চলমান আছে সেখানে কোন ক্ষমতা বলে ওয়াসিম ইমাম জমি দখল করে সিমানা পিলার দিয়েছেন? তাহলে কি তিনি আদালত ও মানছেন না!
দেশের আইন কানুন কেমন করে ওয়াসিম ইমামের একার হয়! আদালতের সম্পূর্ণ রায় না দিতেই কিভাবে সেই জমি দখলে যায়? তবে কি প্রধান মন্ত্রীর কার্যালের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব করছে ওয়াসিম ইমাম? জানতে চায় স্থানীয় সচেতন মহল!
যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখল করছে ওয়াসিম ইমাম তাই নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হক মীর’রের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি বলেন, আদালতে মামলা চলা কালিন সময়ে কোন জমি দখল করার অবস্থান কারো নাই। তারপরেও যদি কেউ করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করব।
জিয়াউল হক মীর আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারী চাকুরী করে কারো জমি দখল করলে আর সেটা যদি প্রমান হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে সরকারী চাকুরী শৃঙ্খলা বিভাগীয় মামলা হবে।
নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কোন সরকারি কর্মকর্তা ছুটিতে বাড়িতে এসে কারো জমি দখল করতে পারে না। তাছাড়া কোর্টে মামলা চলাকালীন এটা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তারপরও বিষয়টি আপনি আমাকে জানিয়েছেন, আমি কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসিকে ব্যবস্থ গ্রহন করার জন্য বলব।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চাকুরী করা ওয়াসিম ইমামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফিল্ড অফিসার হিসাবে চাকুরী করছি।
ছুটিতে বাড়িতে এসে অন্যের জমি দখল করছেন? এমন প্রশ্নে তিনি জবাব না দিয়ে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।
আমানত উল্যাহ সিরাজী’র জমির
দাগ নং ৫০-৩১,৫০-৩২,৫০-৪৫দাগ নাম্বার
৫০-৩০ খতিয়ান ৬০৬ এই জমি সম্পর্কে আদালতে মামলা রুজু করা আছে। কিন্তু যে সম্পর্কে আদালতে মামলা চলমান আছে সেখানে কোন ক্ষমতা বলে ওয়াসিম ইমাম জমি দখল করে সিমানা পিলার দিয়েছেন? তাহলে কি তিনি আদালত ও অবমাননা করলেন!
দেশের আইন কানুন কেমন করে ওয়াসিম ইমামের একার হয়! আদালতের সম্পূর্ণ রায় না দিতেই কিভাবে সেই জমি দখলে যায়? তবে কি প্রধান মন্ত্রীর কার্যালের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব করছে ওয়াসিম ইমাম? জানতে চায় স্থানীয় সচেতন মহল!
এ নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর থানার উদ্যোগে বহুবার জনাব ওয়াসিম ইমামের সাথে বৈঠক হয়। তিনি প্রতিটি বৈঠক নানান কৌশলে ব্যর্থ করে দেন।
পরে থানার এস আই সাইফুলের দায়িত্বে বাড়িতে জমি মাপের ব্যবস্থা হয় এবং জমি মাপার আমিন সুজনকে পাঠানো হয়। প্রতিবার বাড়ির বিভিন্ন লোকদের প্ররোচনায় সেই উদ্যোগ ব্যর্থ করে দেয়। সর্বশেষ যে ব্যক্তিকে তিনি
(ওয়াসিম ইমাম) দাঁড় করান সে হলো মুন্সী,পিতা জেবাল হক চৌধুরী,(স্থানীয় ভাবে চধরি নামে পরিচিত) তাকে দাঁড় করায়। মুন্সী নিজেই স্বীকার করেছে।
সেই ঘটনার সূত্র ধরেই, গত ৯/১১/২০২১ তারিখ দিবাগত রাতে মৃত আমানত উল্যাহ সিরাজীর ঘরে আগুন দেয়া হয়। আগুন রান্না ঘর থেকে শুরু হয়। যেখানে ওয়াসিম ইমাম দখল করে খুঁটি পুঁতেছিলো এবং তৃতীয় পক্ষ যারা আমানত উল্যাহ সিরাজীর জায়গা দখল করার জন্য চেষ্টা করছে, মিথ্যা মামলা করছে তারা এ ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত।
মোঃ আবু জাফর লোকমান, পিতা মৃত মোঃ ইদ্রিস। মোঃ মান্নান, পিতা মৃত লোকমান হোসেন, মাতা নূরজাহান, শাহ আলম পিতা মৃত নূর এসলাম, মাতা শামছুন নাহার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, পিতা মৃত লোকমান হোসেন, মাতা নূরজাহান। মো: বেলাল হোসেন, পিতা মৃত লোকমান, জুয়েল পিতা আবু জাফর লোকমান, মাতাঃ বিউটি।
উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে অভিযুক্তরা বাড়ির ফলফলাদি এবং অন্যান্য জিনিস পত্র লুটপাট করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। আমানত উল্ল্যাহ সিরাজির বিধবা স্ত্রী নিরবে সহ্য করে।
গত ১০/১১/২১ তারিখ ভোর বেলা মোঃ একরামুল হক সিরাজী গ্রামের মাতব্বর, ফজর নামাজ শেষে গ্রামবাসীকে নিয়ে অগ্নিদগ্ধ ঘর পরিদর্শন করেন। থানায় জিডি করতে গেলে অসি তিন দিনের সময় চায়।
ওসি ইনকোয়ারি করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরও কোন অদৃশ্য কারণে আজ ১২/১১/২১ তারিখ অবধি মামলা কিংবা জিডি নেয়নি। গতকালও একরামুল হক সিরাজি আমানত উল্লাহ সিরাজবর পক্ষর থানায় গিয়ে শূন্য হাতে ফিরে আসে।
আমানত উল্যাহ সিরাজীর দুই কন্যা সরকারের পক্ষে জনগনকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং জামাতারাও সরকারের পক্ষে জনগনকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের উপর এহেন অত্যাচার হলে তারা কী ভাবে নিশ্চিত মনে সেবা করবে?
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর পোড়ার আলামত খুঁজে পাওয়ার পরও কোন অভিযোগ গ্রহন করেনি।
প্রশ্ন হচ্ছে এন এস আইতে চাকুরি করলেই কী সে ক্ষমতাবান হয়ে যায়? তার বিরুদ্ধে তার ডিপার্টমেন্ট এ কমপ্লেইন করার পর সে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। তার অত্যাচারে আমানত উল্যাহ সিরাজীর সন্তানেরা,তাঁর বিধবা স্ত্রী বাড়িতে ঘর তুলতে পারছে না, বাড়িতে অবস্থান করতে পারছে না।
থানার ওসি মামলা নিচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসন ঘর পোড়ার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিচ্ছে না। জেলা প্রশাসনও নিশ্চুপ! তাহলে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় রাজত্ব করছে কারা! কার নির্দেশে চলছে এসব?
আরও খবর পড়ুন
ওয়াসিম ইমাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখল করছে