স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা – ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা – ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

অপরাধ প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীতে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন খানকে (২৮) বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।

ধর্ষণচেষ্টার খবর সামাজিক প্রচার মাধ্যমে ও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন খানকে বহিষ্কার করা হয়। সংগঠনের নীতি-আদর্শ শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাসায় ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণচেষ্টার করার অভিযোগে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন খানকে আসামি করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর গ্রামের বাড়ি উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নে। সে ভায়াং সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের বাড়ি থেকে স্কুল অনেক দূর। এতে সে স্কুল সংলগ্ন ভয়াং বাজারে তার মেঝ খালার বাসায় থেকে লেখাপড়া করত। অভিযুক্ত সুমন ওই কিশোরীর মা ও খালার ফুফাত ভাই হওয়ার সুবাদে ভয়াং বাজারের বাসায় প্রায়ই আসা যাওয়া করত।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে সুমন খান ভয়াং বাজারের বাসায় গিয়ে ওই কিশোরী ভাগ্নির কাছে জানতে চায় তার খালা কোথায় গেছে। ওই কিশোরী জানায়, খালামনি নানা বাড়িতে গেছেন। বাসায় একা পেয়ে মামা সুমন ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় কিশোরীর ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সুমন পালিয়ে যায়।

এর আগেও ২০২০ সালের ৬ মে এসএসসি পরিক্ষার্থী এক কিশোরীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ভিত্তিতে সুমনকে আটক কারে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ পরে বিয়ের মুচলেকায় মুক্ত হয়ে ওই কিশোরীকে বিয়ে করে।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন খানকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার এহেন কার্যকলাপে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতো। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীঘটিত অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। তার এ বহিষ্কারাদেশ আরো আগে হওয়া প্রয়োজন ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top