ভোলার তজুমদ্দিনে চরমোজাম্মেলে বহিরাগতদের সশস্ত্র মহড়া; উড়ছে লাল নিশান
জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরমোজাম্মেল দখলের উদ্দেশ্যে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের খোকনের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী চরের ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি মারপিট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে চরের মধ্যে লাল নিশান টাঙিয়ে দিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জিয়াউল হক বলেন, ‘বুধবার গভীর রাতে চরমোজাম্মেলে বহিরাগতদের প্রবেশ করার সংবাদ পেয়েছি। সকালে স্পিডবোর্ড যোগে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
চরের বাসিন্দারা জানান, মেঘনার ভাঙনে অসহায় হয়ে ১৫ বছর আগে স্বপরিবারে তজুমদ্দিনের এই চরে তারা বসবাস করছেন। মাঝে মাঝে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লুটপাট ও মারপিট করে। বুধবার গভীর রাতে চরমোজাম্মেল মুক্তিযোদ্ধা বাজার সংলগ্ন উত্তর পাশে ঘুমন্ত চরবাসীর উপর খোকন বাহিনী হামলা করে প্রায় ৫০০ একর জমিতে লাল নিশান টাঙিয়ে দেয়।
চাঁদপুর ইউনিয়নের চরমোজাম্মেল ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর পাটওয়ারী জানান, নদীভাঙা অসহায় মানুষগুলোই মেঘনায় জেগে ওঠা চরগুলোতে বসবাস করেন। চরমোজাম্মেলের প্রায় ১০ হাজার মানুষের নিরাপত্তা প্রয়োজন।
চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর জানান, প্রায় সময়ই চরের নিরীহ মানুষের ওপর বহিরাগতরা হামলা ও লুটপাট চালায়। চরবাসী আতঙ্কে রয়েছে, নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ক্যাম্প প্রয়োজন।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য আমরা যোগাযোগ করেছিলাম তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা সঙ্গে, তিনি বলেন, তজুমদ্দিন থানাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এছাড়া হাতিয়া’র ইউএনও এর সাথে কথা বলেছি। তিনিও তার ওসি এবং কোস্টগার্ডকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্যও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।