ভোলায় ছয় দফা দাবিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের ছয় দফা দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রবিবার সকালে ভোলা জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজাত হাওলাদার এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এছাড়াও ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোঃ সালাউদ্দিন হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.মোঃ নুরুল আমিন নূরনবী এর বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ।
ছয় দফায় শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা দাবি করেন।
আমরা চাকরিজীবী নই পেশাজীবী, তাহলে কেন চাকরিজীবীদের ন্যায় কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হব? যেহেতু আইন পেশা অবৈতনিক এবং আত্মকর্মসংস্থান মূলক তাই আইনজীবীদেরকে ও অন্যান্য পেশাজীবীদের ন্যায় একই পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে হবে।
বাংলাদেশের আইনজীবী নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও পরীক্ষা পদ্ধতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ন্যায় চালু করতে হবে। যেমন, প্রতি ৬ মাস পরপর বছরে দুইবার ওপেন বুক সিস্টেম ১০০ মার্কের এমসিকিউ পরীক্ষা সাড়ে তিন ঘণ্টায় নেওয়া হয়। আর পাশ মার্ক ৪০ নম্বর এবং ভুল উত্তরের জন্য কোন মার্ক কাটা হয় না। প্রতি পরীক্ষায় শতভাগ ৮০-৯০% পাশ করানো হয়।
২০১১ সালের পূর্বের ন্যায় লিখিত এবং ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে সনদ প্রদান করতে হবে। প্রতি ৬ মাস পরপর আইনজীবী নিবন্ধন পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে এবং পরীক্ষার সময় সূচি চূড়ান্ত ফলাফলের তারিখ ক্যালেন্ডার আকারে প্রকাশ করতে হবে।
লিখিত পরীক্ষায় পাশ মার্ক ৪০ করতে হবে এবং অন্যান্য একাডেমিক পরীক্ষার ন্যায় পাশের হার সন্তোষজনক রাখতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় ও.এম.আর চালু করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি, পরীক্ষার ফি সরকারি চাকরির পরীক্ষার ফি’র ন্যায় নির্ধারণ করতে হবে।
দেশরত্ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলায় বার কাউন্সিলের সকল কার্যক্রম ডিজিটালাইজ করতে হবে।
যেমন: রেজিস্ট্রেশন ফি, পরীক্ষার ফি, বার কাউন্সিলের অন্যান্য ফি অনলাইনে জমা নিতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র অনলাইনে বিতরণ করতে হবে।
মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত কারণে আপদকালীন সময়ে রেজিস্ট্রেশনকৃত সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২ সালের মানবিক সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি করে গেজেটের মাধ্যমে সনদ প্রদান করতে হবে। এতে সরকারের একটি পয়সাও খরচ হবেনা। বরং এর ফলে কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে ও সরকার প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব আদায় করতে পারবে। অন্যদিকে ৫৫ হাজার বেকার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদের সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, সহ-সভাপতি অভিজিৎ রায়, মাহবুব আলম সেলিম, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরউদ্দিন, ফয়জুন্নেসা, রিজিয়া রহমান, সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান ও মো. হান্নান প্রমুখসহ জেলার সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবী বৃন্দ।