সুন্দরবনের ১০ কিমি ইসিএ এলাকার মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন নিষিদ্ধ করছে সরকার

Picsart_25-04-21_17-24-09-802.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

বিশেষ প্রতিবেদকঃ সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) এর মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার, বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সভায় সুন্দরবন ইসিএ এলাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান ও নবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় পরিবেশ কমিটির ২০১৭ সালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ৩.৪.৪ এবং তৎসংক্রান্ত ২০২১ সালের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হলো। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার ইসিএ এলাকারি মধ্যে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের পরিবেশগত প্রভাব নিরূপন করা হবে। আদালতের আদেশ থাকার কারণে প্রভাব নিরূপনের পর স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

এছাড়াও, সভায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট বিধিমালা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধনের পর সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও এনজিওগুলো যৌথভাবে প্রকল্প প্রস্তাব দিতে পারবে। শব্দদূষণ রোধে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে সকল মন্ত্রণালয় থেকে মতামত নেওয়া হবে।

সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হবে। বন অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা চালু ও বৃদ্ধির প্রস্তাবও পাঠানো হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ভবন নির্মাণে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে মে মাসে সচিব পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক এবং কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সচিব ফারজানা মমতাজ; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান; স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নজরুল ইসলাম-সহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে গত সভার সিদ্ধান্ত ও সভার কার্যপত্র উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম।

আরও সংবাদ পড়ুন।

পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে – পরিবেশ উপদেষ্টা

আরও সংবাদ পড়ুন।

মানচিত্র বদলাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে — সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আরও সংবাদ পড়ুন।

ময়লার ভাগাড়সহ কোন স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না – পরিবেশ উপদেষ্টা

আরও সংবাদ পড়ুন।

আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকতে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান

আরও সংবাদ পড়ুন।

২০২৫ সাল নাগাদ সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আরও সংবাদ পড়ুন।

ইটভাটা পরিবেশ দূষণের বড় হাতিয়ার; বায়ু, মাটি ও পানি স্থায়ী ক্ষতি করছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top