জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

Screenshot_20250321_131341_Picsart.jpg

জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,সংগঠনের সভাপতি এবং চ্যানেল আইয়ের এসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর আহসান কামরুল।

স্টাফ রিপোর্টঃ ঢাকায় কর্মরত ভোলার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন ‘ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম (ডিবিএসএফ)’ এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

ইফতার উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠন সংবাদকর্মীসহ ভোলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

চ্যানেল আইয়ের এসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর আহসান কামরুল এর সভাপতিত্বে, ডিবিএসএফ’র সহ-সভাপতি সাগর চৌধুরীর সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনা হয়। এতে বক্তারা ডিবিএসএফ’সহ ঢাকাস্থ ভোলার সাংবাদিকদের কাছে ভোলার উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনার খবর বেশি করে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

এসময় ডিআরইউ’র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই তুহিন বলেন, ভোলা প্রাকৃতিকভাবে অনেক সম্ভাবনাময় একটি জেলা। দেশের গণমাধ্যমে এ জেলার অনেক মানুষই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আমি আশা করি, ভোলার সাংবাদিকরা আরও বেশি করে সংবাদমাধ্যমে অবদান রাখবেন। ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরামের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম ইব্রাহীম খলিল বলেন, ৫ আগস্টের আগে সাংবাদিকরা সত্য লিখতে পারত না। কিন্তু এখন তো দেশে স্বৈরাচার নেই। অথচ ভোলার বিভিন্ন চরে এখনও কৃষকদেরকে চাঁদা দিতে হয়। তরমুজ চাষীদেরও চাঁদা দিতে হচ্ছে। ঢাকায় কর্মরত ভোলার সাংবাদিকরকে এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির খবর মিডিয়ায় তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। সাংবাদিকদেরকে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস মাতাব্বর বলেন, বিগত ১৫ বছরে সংবাদমাধ্যমের অনেকেই ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। সেসব দোসরদের মাধ্যমেই শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিলেন। এখন আবার সুসাংবাদিকতার সময় এসেছে। সাংবাদিকদেরকে এখন সত্য তুলে ধরতে হবে।

দৈনিক ভোরের পাতা’র বার্তা সম্পাদক মশিউর রহমান রুবেল বলেন, ভোলা জেলা গ্যাসে পরিপূর্ণ। কিন্তু ভোলার মানুষ শিল্প-কারখানা ও বাসা-বাড়িতে পায় না। অথচ সেই গ্যাস আসবে ঢাকায়। সেখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যাবে অন্যান্য জেলায়। ভোলা-বরিশাল সেতুর প্রয়োজন থাকলেও এখনও তেমন কোন অগ্রগতি নেই। এটা সুস্পষ্ট বৈষম্য। এজন্য আপনারা লেখালেখি করবেন। প্রয়োজনে ভোলার মানুষজনকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সদস্য সচিব মো. শামসুদ্দিন বলেন, দেশ গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদের কবলে ছিল। আমরা ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে, জীবন দিয়ে দেশ আবারও স্বাধীন করেছি। কিন্তু এখনও যদি মানুষকে চাঁদা দিতে হয়, অন্যায়ের শিকার হতে হয়, তাহলে সেই স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হয়নি। এজন্য সাংবাদিকদের সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে হবে। নাহলে বিগত ফ্যাসিবাদের সাথে আমাদের কোন পার্থক্য থাকবে না। আমরা মনে করি, সাংবাদিকরা সঠিক পথে থাকলে দেশ সঠিক পথে থাকবে।

সমাপনী বক্তব্যে ডিবিএসএফ’র সভাপতি আহসান কামরুল বলেন, ভোলার সংবাদকর্মীদের একতাবদ্ধ এবং পেশাগত মানোন্নয়ন করার লক্ষ্যে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে আমরা ২০২২ সালে এ সংগঠনের যাত্রা শুরু করেছিলাম। ভোলার বিভিন্ন সাংবাদিকদের বিপদের সময় আমরা যথাসাধ্য পাশে দাঁড়িয়েছি। ভবিষ্যতেও আমরা ভোলার সাংবাদিকদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকব। এজন্য যেকোন পরামর্শ এবং সার্বিকভাবে আমরা সবাইকে আমাদের পাশে চাই।

এছাড়াও ইফতার মাহফিলে সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, ঢাকাস্থ ভোলার ব্যবসায়ী আকতার হোসেন, মো. রিপন, ডিবিএসএফ সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি এইচ এম কামরুল, দপ্তর সম্পাদক খান শান্ত, সহ-দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হাওলাদার, নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাখাওয়াত সজীব, এ আর এম মামুন, ইব্রাহিম হাসান সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top