ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ও নারী লিপ্সু রেজাউল করিমের সম্পদের পাহাড়
অপরাধ প্রতিবেদকঃ রেজাউল করিম ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ও নারী লিপ্সু। হেন অপরাধ নেই যার সাথে সে জড়িত নয়। তার একমাত্র পরিচয় তিনি নির্বাচন কমিশনের সাবেক যুগ্ম সচিব আবুল কাশেমের ছোট ভাই।
তিন ভাইয়ের মধ্যে রেজা সবার ছোট। বড় ভাই আবুল কাশেম ফ্যাসিস্ট সরকারের আর্শিবাদ পুষ্ট শেখ হাসিনার আন্তজার্তিক বানিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দালাল।
অপর ভাই আবুল হাশেম এলজিইডি মন্ত্রনালয়ের ৩য় শ্রেনীর কর্মকর্তা।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছেন। করেছেন অঢেল সম্পদের পাহাড়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজারে করেছেন আলিশান ৬ তলা বাড়ী, আছে রিসোর্ট যেখানে সুন্দরী রমনীদের নিয়ে যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হন। তার যৌন লালসার হাত থেকে বাদ যায়নি স্কলার্স স্কুলের সুন্দরী শিক্ষিকাও।
রেজা তার বড় ভাই আবুল কাশেমের প্রতিষ্ঠিত স্কলার্স স্কুল এন্ড কলেজে পরিচালক হিসেবে কর্মরত। নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা দাবী করে ধানমন্ডি এলাকায় চাদাবাজি টেন্ডার বাজি সহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রবীন্দ্র সরোবরে মধ্যরাত পর্যন্ত মদ পান করেন তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে এবং সেই সাথে নানা রকম ফন্দি ফিকির করেন। যেকোন উপায়ে কখনো নিজের পরিচয় কখনো বড় ভাই নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেমের নাম ব্যবহার করে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করেন।
স্কুলের বাচ্চাদের মহিলা অভিভাবক পটাতে সে ছিলো খুব পটু। অনেক অভিভাবক তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন। তাদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যেতেন রিসোর্টে। একাধিক নারীর অভিযোগ তিনি অনৈতিক সম্পর্ক জড়ান। লোক লজ্জায় নারীরা তাদের এই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে জানাতে পারছে না। কারণ, স্বামী সন্তান সহ সামাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে। আর এই সুযোগেই লম্পট রেজাউল করিম নিজের যৌন স্বার্থ চরিতার্থ করে।
সুযোগ সন্ধানী রেজা ৫ আগষ্টের ছাত্র জনতার গণ-অভুত্থানের পরও এখনো স্বপদে বহাল আছেন। স্কুলের নারীদের সাথে অনৈতিক কার্যকালাপ করেই যাচ্ছেন।
নতুন বাংলাদেশে এরকম সুযোগ সন্ধানী নারী লিপ্সু রেজাউল করিমদের মুখোশ উম্মোচন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।