হাইকোর্টের রায় বহাল – সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ

Picsart_24-02-25_14-22-48-876.jpg

হাইকোর্টের রায় বহাল – সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ

আদালত প্রতিবেদকঃ বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। 

এর ফলে এখন থেকে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল’র হাতে ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আজ রবিবার (২০ অক্টোবর ২০২৪) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

গত ১৫ আগস্ট বিচারপতিদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনবেন বলে জানিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ দিন ধার্যের আদেশ দেন।
 
এর আগে ১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের কাছে। মার্শাল প্রক্লেমেশনে করা পঞ্চম সংশোধনীতে এক্ষেত্রে ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল।

পরে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয় সংসদকে। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৯ নভেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুল শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।
রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত রায়টি দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। পরবর্তীতে একই বছরের ১ আগস্ট ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। এরপর কয়েক দফা মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসলেও রিভিউয়ের শুনানি হয়নি।

আরও সংবাদ পড়ুন।

হাইকোর্টের বিক্ষোভে বেঞ্চ হারালেন ১২ বিচারপতি

আরও সংবাদ পড়ুন।

গত ১৫ বছরে শপথভঙ্গকারী বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত: ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

আরও সংবাদ পড়ুন।

বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার রায় দিয়ে ‘বাবার ট্রাস্টে’ টাকা নেন

আরও সংবাদ পড়ুন।

হাইকোর্টের ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি শপথ নিলেন

আরও সংবাদ পড়ুন।

সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন

আরও সংবাদ পড়ুন।

শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে মহাজাগরণের উন্মেষ ঘটিয়েছেন: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত

আরও সংবাদ পড়ুন।

বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাহী কমিটি গঠন

আরও সংবাদ পড়ুন।

৬৬ ডেপুটি ও ১৬১ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ

আরও সংবাদ পড়ুন।

সরকার ৮১ জন বিচারককে বদলি করেছে

আরও সংবাদ পড়ুন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলা

আরও সংবাদ পড়ুন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আরও সংবাদ পড়ুন।

সাবেক ৩ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা

আরও সংবাদ পড়ুন।

বিশেষ নিরাপত্তা আইন বাতিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top