জেল সুপার ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদের পাহাড় – দুদকের মামলা

Picsart_23-10-19_09-04-12-183.jpg

কুমিল্লার সাবেক জেল সুপার ও বর্তমানে
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সিনিয়র জেল সুপার
শাহাজাহান আহমেদ ও তার স্ত্রী খন্দকার নূরুন নাহার লোটাসের বিরুদ্ধে দুদক কুমিল্লার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা মামলা করেন।

সাগর চৌধুরীঃ হিসাব বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুমিল্লার সাবেক জেল সুপার ও বর্তমানে
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সিনিয়র জেল সুপার
শাহাজাহান আহমেদ ও তার স্ত্রী খন্দকার নূরুন নাহার লোটাসের বিরুদ্ধে দুদক কুমিল্লার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা মামলা করেন।

হিসাব বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুমিল্লার সাবেক জেল সুপার শাহাজাহান আহমেদ ও তার স্ত্রী খন্দকার নূরুন নাহার লোটাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৮ অক্টোবর ২০২৩) দুদক কুমিল্লার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা এ মামলা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, জেল সুপার শাহাজাহান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান করে প্রায় দুই কোটি ২১ লাখ টাকার ফ্লাট, প্লট ও বিভিন্ন সম্পদ খুজে পেয়েছেন। তার আয়ের সঙ্গে এসব সম্পদের কোনো বৈধ সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এ সম্পত্তিগুলো তার এবং তার স্ত্রীর ভোগ দখলে রয়েছে।

বর্ণনায় আরও উল্লেখ করা হয়, জেল সুপার শাহাজাহান ও তার স্ত্রী খন্দকার নূরুন নাহার লোটাসের নামে রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও, বাড্ডা ও গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বিভিন্ন সম্পত্তি রয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে জানা যায়, শাহাজাহান আহমেদ কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারেও সিনিয়র জেল সুপারের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানে একক আধিপত্য বিস্তার করে কয়েক কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে রয়েছে কারাগারের পুকুরের মাছ বিক্রি, উৎপাদন বিভাগে উৎপাদিত পণ্যের টাকা আত্মসাৎ, টাকার বিনিময়ে কারারক্ষী নিয়োগ, বন্দি নির্যাতন করে অর্থ আদায়, কোয়ারেন্টিনে থাকা বন্দিদের অবৈধ সুবিধা প্রদান, কারা-ক্যান্টিনে নগদে পণ্য বিক্রি করে লভ্যাংশ আত্মসাৎ, কারা-হাসপাতালে সুস্থ লোককে অসুস্থ দেখিয়ে ভর্তি রেখে টাকা আদায়, সিট ও মোবাইল বাণিজ্য ইত্যাদি।

শাহাজাহান ২০২০ সালের নভেম্বরে কুমিল্লা কারাগারে যোগ দেন। বন্দি নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও হয় ওই সময়। এ ছাড়া বন্দি নির্যাতনের কয়েকটি ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ানি পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন।

মামলার বিষয়ে দুদকের কুমিল্লা অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাত বলেন, দুই কোটি একুশ লাখ সাত হাজার দুইশত পঁচানব্বই টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ শাহজাহান আহমেদ তার নিজ নামে এবং তার স্ত্রী খন্দকার নুরুন নাহার লোটাসের নামে একে অপরের সহযোগিতায় অবৈধ পন্থায় অর্জন করেছে।

এই অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকালে তাদের আরও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেলে তা মামলায় অর্ন্তভুক্ত করা হবে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশিদের সাজা বহাল

আরও সংবাদ পড়ুন।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সাবেক জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস চাকরিচ্যুত

আরও সংবাদ পড়ুন।

সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপালের ৮ বছরের কারাদণ্ড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top