বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ না করার আহ্বান জাতিসংঘের

Picsart_23-08-05_09-43-31-636.jpg

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ না করার আহ্বান জাতিসংঘের

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে সব রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই আহ্বান জানানো হয়। শুক্রবার কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত প্রেস নোট প্রকাশ করে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধী দলগুলোর বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংস হামলা দেখা গেছে। সমাবেশগুলোতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করেছে। পুলিশের পাশাপাশি কিছু সাধারণ পোশাকধারীদেরও বিক্ষোভকারীদের মারতে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট এবং লোহার রড ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এসব সংঘর্ষে অনেক বিরোধী দলীয় সমর্থক ও কিছু পুলিশ আহত হয়েছেন। বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। আবার আইন-প্রয়োগকারী সংগঠনের সদস্য পরিচয়ে তাদের বাড়িতে অভিযানও চালানো হয়েছে। এসব সমাবেশের আগে ও সমাবেশের সময় বিরোধী দলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকারের প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে এসব অধিকার চর্চার প্রচেষ্টাকে দমিয়ে দিতে না পারে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। আমরা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, তারা যেন শুধুমাত্র যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানেই বল প্রয়োগ করেন।

আর সেক্ষেত্রেও এই বল প্রয়োগ হতে হবে বৈধ, সংযমের সঙ্গে এবং সংশ্লিষ্ট নীতি অনুসারে।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই যেন আগামী বছরের নির্বাচনের আগে যারা রাজনৈতিক প্রচার শুরু করেছেন তাদের সবার জন্য একটি নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। তাদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে রাজনৈতিক বহুত্ব এবং ভিন্ন মতামত প্রকাশকে সম্মান জানাতে হবে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

বিক্ষোভকারীদের ওপর বেআইনি বলপ্রয়োগ বন্ধের আহ্বান অ্যামনেস্টির

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top