একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক – শাস্তি পেলেন সহকারী সচিব এরশাদ উদ্দিন
অপরাধ প্রতিবেদকঃ নিজের স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এরশাদ উদ্দিন নামের এক সিনিয়র সহকারী সচিবকে বেতন কমিয়ে ‘লঘুদণ্ড’ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।
উপ-পরিচালক হিসেবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) কর্মরত আছেন প্রশাসনের ৩৩ ব্যাচের কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ শাস্তি দেওয়ার তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, শাস্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’–এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাই তাকে একই বিধিমালার ৪(২)(ঘ) বিধি অনুযায়ী আগামী দুই বছরের জন্য তার বিদ্যমান বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ করা হয়েছে।
সে অনুযায়ী এরশাদ উদ্দিন ষষ্ঠ গ্রেডের ৩৫৫৫০–৬৭০১০ টাকা বেতন স্কেলের নিন্মতম ধাপ ৩৫,৫০০ টাকা মূল বেতনে দুই বছর চাকরি করবেন। তবে দণ্ডের মেয়াদ শেষ অর্থাৎ দুই বছর পর থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বেতন স্কেল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ষষ্ঠ গ্রেডের স্বাভাবিক স্কেলে চলে আসবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী, ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন এবং নথির অন্যান্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এরশাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ জুলাই এরশাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে তার কৈফিয়ত তলব করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এরপর একই বছরের ২৮ জুলাই তিনি অভিযোগের লিখিত জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানি প্রার্থনা করেন। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তারই ধারাবাহিকতায় এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ২৯ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দেন। এতে এরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
অতিরিক্ত সচিব নিতিশ চন্দ্র সরকার মেডিকেল কলেজে ভর্তির নামে প্রতারণায় জড়িত
আরও সংবাদ পড়ুন।