ভূমি মন্ত্রণালয়ের এখনো অনেক দূর যেতে হবে। আজ রবিবার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবন মিলনায়তনে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
বিশেষ প্রতিবেদকঃ ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে নামজারি শুনানির তারিখ ফোন করে জানানোর ব্যবস্থা নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। নামজারি সেবা সম্পন্ন হওয়ার পর সেবা গ্রহণকারী সেবার মানের বিষয়ে মতামতও (ফিডব্যাক) দিতে পারবেন।
আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবন মিলনায়তনে এ-সম্পর্কিত ‘দেশব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ভূমিসেবার গুণগত মান মূল্যায়ন ও স্মার্ট নামজারি শুনানির নোটিশ প্রদান কার্যক্রম’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয় সেবামুখী মন্ত্রণালয়। আমরা সেই কথা মাথায় রেখেই কাজ করছি এবং যা করছি তা টেকসই করে করার চেষ্টা করছি। আমরা সিস্টেম এমনভাবে স্থাপন করছি, যেন দুর্নীতির সুযোগই না থাকে। তবে আমরা মনে করি, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এখনো অনেক দূর যেতে হবে।’
রাজধানীর ভূমি ভবনে স্থাপিত নাগরিক সেবা কেন্দ্রের সফলতার ধারাবাহিকতায় দেশের প্রতিটি জেলায় সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করার পরিকল্পনার কথা জানান ভূমিমন্ত্রী। মন্ত্রী জানান, নামজারি শুনানির তারিখ ফোন করে জানানোর ‘ওয়ান ওয়ে’ ব্যবস্থা আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ‘টু-ওয়ে’তে উন্নীত করা হবে; ফলে নাগরিকেরা কথোপকথনেও অংশ নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং পাল্টা প্রশ্ন করতে পারবেন তাঁদের আবেদনকৃত সেবার বিষয়ে।
এ ছাড়া বাংলাদেশের সব উপজেলা ভূমি অফিসের নামজারি সেবার গুণগত মান সম্পর্কে ফিডব্যাক দিতে পারবেন তাঁরা। এর জন্য নামজারি সেবা গ্রহণের পর একটি স্বয়ংক্রিয় ফোনকল করা হবে। এর মাধ্যমে নাগরিক নামজারি-বিষয়ক সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির কারণ জানাতে পারবেন। কোনো সুনির্দিষ্ট নামজারি মামলার সিদ্ধান্তের বিষয়ে অসন্তুষ্টির কারণটি ডিজিটাল উপায়ে সংগ্রহ করে শিগগিরই ড্যাশবোর্ড land.gov.bd-এ প্রদর্শন করা হবে; যা নিয়মিত মনিটরিংয়ের আওতায় আসবে।
প্রাপ্ত মতামত মনিটরিং ও বিশ্লেষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দীক এবং ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দীকী।
উপস্থিত ছিলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল বারিক সহ ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা।
আরও সংবাদ পড়ুন।