পদ নেই, তবু হচ্ছে তাঁদের পদোন্নতি
বিশেষ প্রতিবেদকঃ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পদোন্নতির সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) ১৭তম ব্যাচ, বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডার, অন্যান্য ক্যাডার, অতীতে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারাসহ (‘লেফট আউট’ হিসেবে পরিচিত) প্রায় ৩০০ কর্মকর্তার চাকরি জীবনের যাবতীয় তথ্য যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ করছে।
ইতিমধ্যে এ বিষয়ে তিন দফা বৈঠক করেছে এসএসবি। আগামী সপ্তাহে আরও একটি বৈঠক করে কর্মকর্তাদের কর্মজীবনের সব নথি, বিশেষ করে প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা, দুর্নীতির বিষয়সহ সামগ্রিক বিষয় চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে।
বিবেচনায় নেওয়া কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে চলতি মাসের প্রথমার্ধেই কমবেশি ৮০ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে। তবে বঞ্চিতদের মধ্যে যাঁরা অতীতে দুবার পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের পদোন্নতি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
সরকারের উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২-এ বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ৩০ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের যুগ্ম সচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে।
এই বিধিমালার কারণে প্রশাসন ক্যাডারের পাশাপাশি অন্যান্য ক্যাডার থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আগে পদোন্নতি না পাওয়া বিভিন্ন ব্যাচের কিছু কর্মকর্তাকেও পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হতে পারে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি না পাওয়া (লেফট আউট) ১৫৯ জন এবং অন্যান্য ক্যাডারের রয়েছেন প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তা।
এ ছাড়াও সদ্য বিলুপ্ত হওয়া ইকোনমিক ক্যাডারে আগের বঞ্চিত ২৫ জন কর্মকর্তাও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের পাশাপাশি অন্যান্য ক্যাডার থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
পাশাপাশি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আগে পদোন্নতিবঞ্চিত বিভিন্ন ব্যাচের কিছু কর্মকর্তাকেও পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হতে পারে।
তবে যাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা, আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা পদোন্নতি নাও পেতে পারেন।