অপরাধীচক্রে জড়িত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন মোদক; তল্লাশি, শ্লীলতাহানি ও হুমকি

Picsart_23-03-04_08-38-02-818.jpg

অপরাধীচক্রে জড়িত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন মোদক; তল্লাশি, শ্লীলতাহানি ও হুমকি

অপরাধ প্রতিবেদকঃ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন মোদক জড়িত। পুলিশ প্রটোকল নিয়ে অপরাধীচক্রের অভিযান পরিচালনা করার ঘটনায় জড়িত খোদ সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক। অভিযান পরিচালনা করার আগে অপরাধীরা তার সঙ্গে শলাপরামর্শ করেন। এমনকি অভিযান পরিচালনা করতে তিনি গোয়েন্দা পুলিশের টিম দিয়েও সহায়তা করেন।

চক্রটি এভাবে রীতিমতো পুলিশ প্রটোকল নিয়ে সুনামগঞ্জ সদরের নারায়ণতলা গ্রামে গভীর রাতে অভিযান চালায়। সীমান্ত হাটের ব্যবসায়ীদের বাসায় রাখা ভারতীয় পণ্যসামগ্রী জব্দ করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

২৫ জানুয়ারি গভীর রাতে তারা নিজেদের মেজর পরিচয় দিয়ে এ অভিযান চালান। একজন মুক্তিযোদ্ধারসহ সাতটি বাড়িতে হানা দেওয়ার সময় তারা বাড়ির মহিলাদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করেন। একপর্যায়ে গ্রামবাসীর হাতে গণপিটুনির শিকার হয়ে ধরাশায়ী হয়।

এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন মোদকের সহায়তায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে এ ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে আব্দুল কুদ্দুছ ওরফে ডলার নাহিদ নামে একজন ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের জড়িত থাকাসহ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির আদ্যোপান্ত বেরিয়ে আসে।

প্রসঙ্গত, ‘সোর্সকে সাজালেন বিশেষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা, পুলিশ প্রটোকল দিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার’ শিরোনামে ১২ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর টনক নড়ে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। ঘটনার প্রায় ২১ দিন পর ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের হয়। মামলায় ‘সরকারি কর্মকর্তার ছদ্মবেশ ধারণ করে অনধিকার গৃহে প্রবেশ করে তল্লাশি, শ্লীলতাহানি ও হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

সুনামগঞ্জ সদর থানার কোনাপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদ আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিজন রায়সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এরপর সিলেট রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (সিএমএন্ডও) এমএ জলিলকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি করেন তৎকালীন ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ।

এর আগে দফায় দফায় বিতর্কিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদকের সংশ্লিষ্টতা আড়াল করার চেষ্টা করা হয়। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ যাকে অনুসন্ধানী কর্মকর্তা নিয়োগ করেন, তিনি সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তা হলেও বিসিএস ক্যাডারের দিক থেকে ছিলেন জুনিয়র ব্যাচের।

প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপনের পর ওই সময়ের রেঞ্জ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি করেন। মূলত এই তদন্ত কমিটি গঠনের পরই অপরাধীরা গ্রেফতার হন। ১৬ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় রাজধানীর মিরপুর থেকে বিজন রায়কে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী র‌্যাবের আরেকটি দল গত বৃহস্পতিবার মিরপুর থেকে আব্দুল কুদ্দুছ ওরফে ডলার নাহিদকে গ্রেফতার করে।

র‌্যাব জানিয়েছে, এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ভুয়া পরিচয়ে সাধারণ মানুষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ডলার নাহিদকে মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদ আলীর মামলায় গত রোববার সুনামগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে বিজন রায়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে বিজন রায় জামিন পেয়েছেন।

জবানবন্দিতে যা আছে : স্বীকারোক্তিমূলক জানবন্দিতে নাহিদ জানিয়েছেন, তিনি একসময় ডেকমন গ্রুপে পিওন হিসাবে চাকরি করতেন। ২০ জানুয়ারি তার বন্ধু বিজন রায় (মামলায় নাম উল্লিখিত একমাত্র আসামি) সুনামগঞ্জে যেতে অনলাইনে ২১ জানুয়ারি এনা বাসের টিকিট কেটে দেন। বিজন সুনামগঞ্জের বাসিন্দা। পরদিন সকাল ৬টায় সুনামগঞ্জে বিজন তাকে রিসিভ করে আবাসিক হোটেল রয়েলে নিয়ে যান। হোটেলের ৫ম তলায় ৫০৩ নম্বর কক্ষে তাকে রেখে বাসায় চলে যান। এরপর বেলা ১১টার দিকে শহরের সততা হোটেলে নাশতা করে সুরমা নদী পার হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে সীমান্তে ঘুরতে যান। বিজন সীমান্তে তার বন্ধু জামালের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তারা একসঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির ক্যাম্পে ঘোরাঘুরি করেন। জামালের বাড়িতে দুপুরের খাবারও খান। বিকালে শহরের হোটেলে ফিরে আসেন।

রিপনের সঙ্গে যেভাবে পরিচয় : অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদকের সঙ্গে পরিচয়ের বিষয়টিও জবানবন্দিতে তুলে ধরেন ডলার নাহিদ।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২২ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে বিজন রায় আমাকে ফোন করে জানান, তার এক বন্ধু আছে এএসপি রিপন (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক)। বিজন আমার সঙ্গে তাকে (রিপন মোদক) পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের অফিসে (এসপি অফিস) সন্ধ্যার পর নিয়ে যান। সেখানে রিপন মোদকের সঙ্গে পরিচয় হয়। এ সময় রিপন আমার পরিচয় জানতে চাইলে তাকে নাহিদ বলে জানাই। বিজন আমাকে মেজর হিসাবে রিপনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।’

ধান্দার চিন্তা যেভাবে : সীমান্ত হাটে ভারতীয় পণ্য আটকে টাকা কামানোর ধান্দাটা মাথায় ঢোকান জামাল মিয়া। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার বাবার নাম ফিরোজ মিয়া। বাড়ি সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের নারায়ণতলা ফেনিবিল গ্রামে। জামালের এই প্রস্তাবে সায় দেন বিজন রায়। এই ধান্দার বিষয়ে জবানবন্দিতে বলা হয়, “২৩ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্তে বিজনের বন্ধু জামালের বাড়িতে দ্বিতীয়বার ঘুরতে যাই আমারা।

এ সময় জামাল বলেন, ‘ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ইন্ডিয়া থেকে দেশে অনেক প্রডাক্ট আসে।’ কী কী প্রডাক্ট আসে, আমি জানতে চাই। জামাল বলেন, ‘কসমেটিক্স, চকলেট, জিরা, চা-সহ অনেকরকম পণ্য অবৈধভাবে আসে।’ এ সময় বিজন প্রস্তাব করেন, ইন্ডিয়া থেকে অবৈধ ভাবে যে পণ্যগুলো আসে, সেগুলো প্রশাসনের নজরে দিয়ে লাভবান হতে পারি।’ এ সময় আমি বলি, প্রশাসনে কেউ পরিচিত নেই। জবাবে বিজন তখন এএসপি রিপনের (অ্যাডিশনাল) নাম বলেন। এ সময় জামাল জিজ্ঞাসা করেন, রিপনকে বললে তাদের কী লাভ হবে? তখন থানা সব নিয়ে যাবে। বিজন জামালকে বলেন, ‘আমরা প্রশাসন পরিচয়ে পাঁচ লাখ টাকার প্রডাক্ট ধরলে চার লাখ টাকা আমরা ভাগ করে নেব। আর এক লাখ টাকা রিপনকে দিলে তিনি খুশি হবেন।’ এরপর জামাল বলেন, ‘প্রশাসন পরিচয় দিয়ে প্রোডাক্ট ধরার পর সমস্যায় পড়লে আমাদের তিনি (রিপন) রক্ষা করবেন।’ এরপর বিজন বলেন, রিপনকে ফোন দিলে তিনি লোক (পুলিশ) পাঠিয়ে দিলে আর কোনো সমস্যা হবে না।”

রিপনের সংশ্লিষ্টতা যেভাবে : একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা সীমান্ত হাটের পণ্য জব্দ করে টাকা কামানোর ধান্দায় কীভাবে সায় দিয়েছেন-এ বিষয়টিও স্বীকারোক্তিতে তুলে ধরা হয়েছে।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, ‘ডলার নাহিদ, বিজন রায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন মোদক সমান ভাবে অপরাধী। বিশেষ করে পুলিশের যে ক্যাডার কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তার আর এ চাকরিতে বহাল থাকার নৈতিক অধিকার নেই। মূলত প্রতারক চক্রকে আশকারা দিয়ে সমান অপরাধ করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক।

এ প্রসঙ্গে ডলার নাহিদ জবানবন্দিতে বলেন, ‘২৩ জানুয়ারি বিজন রাত ৮টার দিকে রিপনকে (অ্যাডিশনাল এসপি) ফোন দিই। বিজন বলে, চলো, সে (রিপন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ লাইন্সে খেলতে আসবে।’ ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য যেতে বললে ডলার নাহিদ আর বিজন ওইদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে পুলিশ লাইন্সে যায়। রিপনের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলার পর তিনজন বসে কথাবার্তা বলেন। একপর্যায়ে বিজন রিপনকে বলেন, ‘আমাদের আশপাশে অনেক ধান্দা আছে। যদি ধরতে পারি অনেক টাকা পাব।’

এ সময় রিপন জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেমন ধান্দা?’ বিজন বলেন, ‘ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ইন্ডিয়ান অনেক প্রডাক্ট ঢুকে, ওগুলো ধরতে পারলে আমরা পুরোটাই রেখে দিতে পারব। পুরোটাই আমাদের লাভ।’ রিপন বলেন, ‘প্রডাক্ট কোথায় আসে, কোথায় রাখে, আমি তা জানি না।’ বিজন তখন জামালের কথা বলেন। জামালের লোকজন দিয়ে লোকেশন ঠিক করে রাখা হবে। রিপন তখন বলেন, ‘ঠিক আছে, দেখ।’

জবানবন্দির একস্থানে বলা হয়, ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার আবার জামালকে নিয়ে সীমান্ত হাটে ঘুরতে যান তারা। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর রিপনের একজন টিম মেম্বার ডিবির দেলোয়ার হোসেন ওখানে যান। তখন জামাল দেলোয়ারকে দেখিয়ে বলেন, ‘ও ডিবির। মার্কেটে ধান্দা করে টাকা ওঠায়।’ কিছুক্ষণ বর্ডার মার্কেটে ঘুরে জামালের বাসায় এসে দুপুরে খাওয়াদাওয়া করে তাদের আরেক বন্ধু কিশোরের বাসায় গিয়ে আড্ডা দেন। কিশোর সম্পর্কে জানা যায়, তার পুরো নাম কিশোর ক্লডিয়াস নাফাক। নারায়ণতলা পশ্চিমহাটির রবিন ক্লডিয়াসের ছেলে তিনি।

পুলিশ প্রটোকল যেভাবে : এ বিষয়ে সব জানতেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক। কীভাবে জানতেন আর কীভাবে পলিশ প্রটোকল দেওয়া হবে-সব বিষয় শলাপরামর্শ হয় পুলিশ লাইন্সের ব্যাটমিন্টন খেলার মাঠে।

এ প্রসঙ্গে জবানবন্দিতে বলা হয়, ওইদিন বাসায় যাওয়ার পর বিজন রিপনকে ফোন দেন ব্যাডমিন্টন খেলবে কি না জিজ্ঞাসা করে। রিপন বলেন সাড়ে ৮টার দিকে খেলতে যেতে। এরপর পুলিশ লাইন্সে যান তারা। ব্যাডমিন্টন খেলার পর কথা হয়। বিজন রিপনকে জানান, ‘আজ অনেক প্রডাক্ট আসছে, জামালকে বলেছি ইনফরমেশন নিতে কার বাসায় ইন্ডিয়ান প্রডাক্টগুলো রাখা হয়েছে।’ রিপনের সামনেই বিজন হোয়াটস অ্যাপে জামালকে ফোন দেন। জামাল বলেন, ‘যে বাসায় ইন্ডিয়ান প্রডাক্টগুলো আসছে, ওরা আজ বিক্রি করার জন্য প্রডাক্টগুলো নেবে না। কিন্তু তারা ইন্ডিয়ান প্রোডাক্টগুলো রাতের অন্ধকারে অন্য কোথাও নিয়ে রাখবে যাতে প্রশাসন এলে ধরতে না পারে।’ মালগুলো সরিয়ে কোন বাসায় রাখবে, সেই ইনফরমেশন লোকজন দিয়ে জামাল নিয়ে রাখবে। বিজন রিপনকে বলেন ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে রেইড দেবে। এ সময় বিজন রিপনকে বলেন, পুলিশের লোক লাগবে, যারা সিভিল ড্রেসে আমাদের সঙ্গে যাবে। বিজন জিজ্ঞাসা করেন, রিপন পুলিশ দিতে পারবে কি না! রিপন বলেন, দিতে পারব, কোনো সমস্যা নেই।

সেই রাতে যা ঘটেছিল : ২৫ জানুয়ারি বিজন রাত ৮টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপনের সঙ্গে খেলতে যান। ওই সময় রিপনের সঙ্গে রেইড দেওয়ার বিষয়ে কথাবার্তা পাকাপোক্ত হয়। ওই রাতে বিজন রিপনকে জানান, রাত ১১টার দিকে রেইড দিতে যাবে। রিপনকে দুইজন লোক দেওয়ার জন্য বিজন বলেন। রিপন ঠিক আছে বলে তার গাড়ি দিয়ে বিজনের বাসার সামনে নামিয়ে দেন। রাত ঠিক ১১টায় বিজন হোয়াটস অ্যাপে রিপনকে ফোন দিয়ে বলেন, আমরা নদীর এপারে দাঁড়িয়ে আছি, রিপনকে ওই দুইজন লোক পাঠাতে বলেন। রিপন আমাদের কাছে ডিবির কটি পরা তিনজন লোক পাঠান। যাদের মধ্যে দেলোয়ার ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির তথ্য-উপাত্ত জানতে পেরে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ ২৭ ফেব্রুয়ারি এএসআই দেলোয়ার হোসেনকে জেলার মধ্যনগর থানায় স্ট্যান্ডরিলিজ করেন।

এদিকে মামুন নামে এক মোটরসাইকেলচালককে নিয়ে অভিযানে নামেন তারা। পেছনে ছিলেন পুলিশের তিন সদস্য। তবে পুলিশ আসার আগেই তারা মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদ আলীর বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি করে কিছুই পাননি। বিজন খালি হাতে ফিরে আসার সময় মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপনকে জানান, ‘আমরা কিছু পাইনি’। এরপর রিপন তাদের চলে আসতে বলেন।

এ প্রসঙ্গে জবানবন্দিতে বলা হয়, ‘আমরা যখন বাইক চালিয়ে নদী ঘাট পাড়ে আসি, তখন দেখি ওখানে কিছু লোকজন জড়ো হয়ে আছে। ওদের সঙ্গে বিজন ও আমার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওরা আমাদের ইচ্ছামতো মারধর করে। বিজন কোনোমতে সরে এসে রিপনকে ব্যাকআপ টিম পাঠাতে বললে রিপন ব্যাকআপ টিম পাঠায়। ব্যাকআপ টিম তাদের উদ্ধার করে আমাকে হোটেলের সামনে এবং বিজনকে ওর বাসার সামনে নামিয়ে দেয়। এরপর থেকে আমি পলাতক ছিলাম।’

আরও সংবাদ পড়ুন।

এসপি মহিউদ্দীন ফারুকী বরখাস্ত

আরও সংবাদ পড়ুন।

পুলিশের ডিআইজি মিজান চাকরি হারালেন

আরও সংবাদ পড়ুন।

সিআইডি’র পুলিশ সুপার মুনির হোসেন’কে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top