দৌলতখানের খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আলাউদ্দিনের অনিয়ম ও দূর্নীতির শেষ কোথায়?

Picsart_23-02-01_23-18-28-886.jpg

দৌলতখানের খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আলাউদ্দিনের অনিয়ম ও দূর্নীতির পেছনে কে?

দৌলতখান প্রতিনিধিঃ ভোলার দৌলতখানের খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে চাল পাচারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি চাল ক্রয় – বিক্রিয়ের সাথে জড়িত বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

দৌলতখান উপজেলা দায়িত্ব প্রাপ্ত আলাউদ্দিন দৌলতখান উপজেলায় জেলেদেরসহ অন্যন্য সরকারি বরাদ্ধকৃত চাল চুরি ও পাচার করছেন।

মৎস্য খাতে জেলেদের জন্য চাল বরাদ্ধ রয়েছে ২২শত টন। প্রতিটি মৎস্য অভিযানের সময় ইউনিয়ন থেকে জেলেদের জন্য সরকারি চাল নিতে আসে চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবগন। তারা আসার আগেই আলাউদ্দিন গুদামের তালা বাহির থেকে বন্ধ করে তার পালিত ২০/২২জন শ্রমিক প্রবেশ করায় গুদামের ভিতর। এসময় আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে শ্রমিকরা ইউনিয়নের বরাদ্ধকৃত প্রতিটি বস্তা থেকে বোঙ্গা ও প্লাষ্টিকের পাইপ ব্যবহার করে দুই থেকে আড়াই কেজি চাল বের করে নেয় কৌশলে। সূত্রে আরো জানা গেছে, এভাবে প্রতিদিন এক থেকে দেড়টন চাল সরিয়ে অন্যত্র মজুত করা হয়।

এসময় তাদেরকে বাহির থেকে পাহাড়া দেয় আলাউদ্দিনের একান্ত সহযোগী খাদ্য গুদামের দারোয়ান হারুনার রশিদ। পরে এ চালগুলো কৌশলে সে দেশের বিভিন্ন যায়গায় বিক্রি করে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা।

অন্যদিকে আলাউদ্দিন, সরকারি চাল জাহাজ থেকে গুদামে প্রবেশ করার পর পরই ৫০ কেজির বস্তা থেকে সরিয়ে নেয় ৫/৬ কেজি করে। পরে সে শ্রমিক দিয়ে সে বস্তাগুলো সেলাই করে গুদামের মধ্যে সংরক্ষণ করে।

এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে সে বলে, এগুলো সরকারি ভাবেই কম আসে। অন্যদিকে আলাউদ্দিন, সরকারি নিয়মে কৃষকদেরকে ন্যায্য মূল্য দিয়ে ধান ক্রয়ের কথা থাকলেও সে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তার ইচ্ছে মতো বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুবিধা মতো ধান ক্রয় করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ কৃষকরা।

বর্তমানে সে বিভিন্ন মহলে বলে বেড়াচ্ছে, আমার হাত অনেক লম্বা। আমার সাথে বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের সর্ম্পক রয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজির সাথেও আমার ভালো সম্পর্ক আছে।

এই বিষয়ে জানতে, দৌলতখানের খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আলাউদ্দিনের কাছে তার মুঠোফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে নানা জন নানা অভিযোগ করছে। আজ অনেক সাংবাদিক ফোন করছে! কিন্তু অভিযোগর বিষয়ে কিছু না বলেই তিনি চায়ের দাওয়াত দিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

ভোলা জেলায় এভাবেই সরকারের চাল, অবৈধভাবে বিক্রী করার পর, পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এসব চাল বিক্রি’র ভাগ পায়। তাই জেলা খাদ্য কর্মকর্তা দেখেও দেখে না।

ভোলা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা, সন্দীপ কুমার এর মুঠোফোনে
দৌলতখানের খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়ে একাধিক বার যোগাযোগ করলেও মুঠোফোনের কল রিসিভ করেন নি তিনি।

স্থানীয়রা জানান, জেলা খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও আছে একাধিক অভিযোগ। চাল চুরির সহযোগিতা করেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার। নানা অনিয়ম অভিযোগ ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধেও ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top