আমি এখনো দিব্যি আছি – সাগর চৌধুরী
আমি এখনো দিব্যি আছি
কখনো মুখে বলেনি
কত! কত!
আরও কত কত!
যখন শুধু ভেতরের হাহাকার! গুমরে কেঁদেছে!
রাতজাগা ডাহুকের মত!
যখন শুধু নিজের প্রয়োজনে প্যান্ট খুলেছি!
অন্য জনের প্রয়োজন দেখি নি।
রাত তো সেদিন আরও দীর্ঘল হয়েছে! যৌনতার জন্য পাগলের মত রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখেছি কত সতী নারী হাত ছুয়ে বলেছে –
আমার সঙ্গে চলো।
এখন যৌনতার জন্য ছুটি না, শরির চাইলেও মন চলে না। শরির তো চায়! ছুয়ে, চুষে, গলগল করে জল ঢেলে দেই।
মানুষ ধুম পানের জন্য সিগারেটের দোকানে যায়। দোকান ও কষ্টমার দু’জন দুজনের।
তেমনি দু’জনের লাভের আশায় রাস্তায় দাঁড়াই।
তারও কাস্টমার দারকার।
আমারও সিগারেট দরকার।
দুজনেই সমঝোতায় চলে এসেছি!
নারী কাষ্টমারের কাছে সে আমাকে পন্য হিসাবে বিক্রি করে। তেমনি আমিও।
আমি আবার বুদ্ধিমান পুরুষকে বোঝাই।
নারীকে তাবিজের মত গলায় ঝুলিয়ে কি করবেন?
বরং এখানেই সব কিছু আছে।
আপনি বরং সময় টুকু আমার কাছে ধার দিন।
দিব্যি চলে যাচ্ছে দিন!
এখন আর মনেও পরে যে, কখনো আমি রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলাম যৌনতার জন্য।
যৌনতার জন্য!
শুধু মাত্র যৌনতার জন্য!
আমি এখন কত কত নারীর সঙ্গে দিন কাটাই! কারণ, সিগারেটের প্যাকেটের মত যৌনতা পকেটে রাখাতে পারি নি।
মন চাইলে মুখে নিয়ে জ্বালিয়ে লম্বা টান দিতে পারি নি!
একনারী চারপুরুষেও ভাগ করে নিয়েছি!
কিংবা তিন পুরুষে!
অথবা দুই পুরুষে!
আমি কখনই এক নারী পাই নি!
সর্বশেষ আমাকেও ভোগের নামে শরিরের জল টুকু শুষে নিয়েছে। সতীত্ব আর সততার কথা মুখে তোলা নারী! নিমিষেই হাত বাড়িয়েছে –
কথাগুলো শুনে যে কেউ ঝর ঝর করে কাদঁবে-
আমি কখনোই কাঁদি নি!
আজও কাঁদি না।
হয়তো জীনবই এমন।
নয় তো পুরুষই এমন!
মেনে নিয়েছি সব কিছু; একদম সবকিছু।
কই কখনো তো! শরির মূখ্য ছিল না।
মানুষের প্রতি আমার অসিম শ্রদ্ধা ! গভীর সম্মান।
পরম মমতায় ছুয়ে দিয়েছি কপোল,ঠোঁট আর শরির,
আজও সে সম্মান কমেনি।
আমি কেবলই পুরুষ ছিলাম!
আজও পুরুষ আছি।
সাগর চৌধুরী
সংবাদ প্রযোজক।
কবি ও গীতিকার।
বাংলাদেশ রেডিও।
বাংলাদেশ টেলিভিশন।