বোরহানউদ্দিনে শিক্ষককে গাড়ি চাপা; রক্তাক্ত জখম
বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম হাফিজ ইব্রাহিম কলেজের সামনের রাস্তায় হাসান নগর সেড়াদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সিনিয়র শিক্ষক ; কৃষি ; সালাউদ্দিনকে গাড়ি চাপা দেয়।
রেজাউল হক; ডেপুটি সেলর্স ম্যানেজার বরিশাল এর বহন করা গাড়ি। গাড়ির নাম্বার প্লেট। ড্রাইভিং লাইন্সেস। গাড়ির ব্লুবুক। দূর্ঘনাস্থানের ক্ষত ইত্যাদি বিষয়গুলো কোন ভাবেই পরিস্কার হয় না।
গাড়ি দূর্ঘটনায় শিক্ষক সালাউদ্দিন এর হাতে ক্ষত রক্তাক্ত জখম
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্রের আলোকে বলা যায়, আঘাত গুরুতর। রক্তাক্ত জখম হাতে, কোমরে, পায়ে। শরিরের স্পর্শ কাতর স্থানেও রক্তাক্ত জখম আছে। ট্রাফিক আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স রহিত করণ সহ জেল ও জরিমানা। গাড়ির মালিকের জেল ও জরিমানা।
সহকারী সিনিয়র সালাউদ্দিন এর সহকর্মী শিক্ষক তুষার কান্তি অভিযোগ করে বলেন, তিনি একজন সচেতন মানুষ। কিন্তু একজনশিক্ষকে মেরে ফেরাল মত করেছে। তাদের গাড়ির সাথে টেনে হিচরে নিয়েছে। শরিরের অঙ্গে রক্ত ঝড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ওদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এসময়ে স্থানীয় শিক্ষকদের মাঝে উত্তেজনা লক্ষ করা যায়। বোরহানউদ্দিন উপজেলার ছাত্রসংগঠনগুলোর সদস্যরা প্রিয় শিক্ষকের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে চড়াও হন।
ছাত্রদের দাবী, তাদের শিক্ষককে চাপা দেওয়া গাড়ির চালক ও গাড়ির মালিকের কঠিন শাস্তি।
এই বিষয়ে জানতে রেজাউল হক; ডেপুটি সেলর্স ম্যানেজার বরিশাল এর কাছে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমি গাড়িতেই ছিলাম। ভোলা থেকে লালমোহনের দিকে যাচ্ছিলাম। দূর্ঘটনার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি বার বার এড়িয়ে যান।
গাড়ির কাগজ পত্রের সম্পর্কে জানতে প্রশ্ন করলে, রেজাউল হক; ডেপুটি সেলর্স ম্যানেজার বরিশাল এর কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি।