মেজর (অবঃ) এম, এ মান্নান সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
সাগর চৌধুরীঃ মেজর (অবঃ) এম, এ মান্নান, প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানী লিঃ (বিআইএফসি), ঋণ গ্রহীতা মোঃ আমিনুর রহমান ও বিআইএফসি’র আরো ১০ (দশ) জন কর্মকর্তাসহ মোট ১২ (বারো) জন মামলা রুজুর অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং- ০৯, সজেকা ঢাকা-১, তাং-১৮/১২/২০২২
অভিযোগের বিষয়ঃ
মেজর (অবঃ) এম এ মান্নান, প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানী লিঃ (বিআইএফসি) এবং তার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও কর্মকর্তাগণ পরস্পর যোগসাজসে, একে অন্যের সহায়তায় প্রতারণা মূলক ভাবে মেসার্স টেলিকম সার্ভিসেস লিমিটেড-এর মালিক মোঃ আমিনুর রহামানের নামে নিরাপত্তা জামানত ও মর্টগেজ ছাড়াই ৮,০০,০০,০০০/- (আট কোটি) টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে সুদ ও আসলসহ গ্রাহক-এর নিকট পাওনা ৮,৩৮,৮১,৭০৫ /- (আট কোটি আটত্রিশ লক্ষ একাশি হাজার সাতশত পাঁচ) টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটিয়ে আত্মসাতপূর্বক দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় অপরাধ করায় কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন প্রদান করে এবং অদ্য ১৮/১২/২০২২ খি. তারিখে মামলা রুজু করা হয়েছে।
মেসার্স টেলিকম সার্ভিস লিমিটেড-এর মালিক মোঃ আমিনুর রহমান, তার স্বাক্ষরে ০৮/১২/২০১১ খ্রি. তারিখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিআইএফসি বরাবর ৬০ দিন মেয়াদের জন্য ব্যবসায়িক প্রয়োজন মেটানোর জন্য ০৮ কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থাপনা কমিটি ১৫% সুদে ৬০ মাসের জন্য এই ঋণের প্রস্তাব বোর্ডে উত্থাপন করে। সিকিউরিটি হিসেবে প্রত্যেকটি ঋণের বিপরীতে ৬০ পোস্টডেটেড ও ০১ টি করে তারিখবিহীন স্বাক্ষরিত চেক জমা রাখার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে নিরাপত্তা জামানত হিসেবে চেক কিংবা অন্য কোনো সম্পদ মর্টগেজ নেয়া হয়নি। এমনকি তাদের আবেদনকারীর সিআইবি রিপোর্টও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা হয়নি।
পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি আলোচিত হয় এবং ৬০ মাস মেয়াদের জন্য মোট ০৮ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের বিষয়টি অনুমোদিত হয়।