বাংলাদেশ পোলিও ও টিটেনাস মুক্ত হয়েছে – স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক

Picsart_22-12-07_10-05-50-232.jpg

বাংলাদেশ পোলিও ও টিটেনাস মুক্ত হয়েছে – স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক

বিশেষ প্রতিবেদকঃ প্রতিটি জেলায় একটি করে ৩০ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর২০২২) রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোজিক্যাল সোসাইটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, দেশের উপজেলাগুলোতে গাইনি ডাক্তার খুব কম। উপজেলায় গাইনি ডাক্তার থাকতে চান না, কিংবা থাকতে পারেন না।

বাংলাদেশ তো আর আমেরিকা নয়, কিছু সমস্যা রয়েছে। কিছু সমস্যা তো থাকবেই। আমাদের অনেক সমস্যা দূর হয়েছে। আধুনিক হাসপাতাল হয়েছে। রাস্তাঘাট ভালো হয়েছে। ইন্টারনেটও পৌঁছে গেছে। কিন্তু আমরা প্রায় কমপ্লেইন শুনতে পাই, উপজেলার হাসপাতালগুলোতে উপযুক্ত ডাক্তারের অভাবে সন্তান প্রসব করানো যায় না। ফলে সন্তানসম্ভবা নারীরা প্রাইভেট হাসপাতালে চলে যান। প্রাইভেট হাসপাতাল পারলে সরকারি হাসপাতাল কেন পারবে না।

তিনি বলেন, প্রাইভেট হাসপাতালে সন্তানসম্ভবা নারীরা গেলেই ৭০ শতাংশের সিজার করা হয়। আমি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোনো মিটিংয়ে গেলেই, আমাকে প্রশ্ন করা হয় আপনাদের দেশে এত সিজার কেন হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী সিজারিয়ান রোগী ১৫ থেকে ২০ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা নয়। আমাদের কাছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর থাকে না।

স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশ পোলিও ও টিটেনাস মুক্ত হয়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমিয়েছি। কিন্তু এসডিজি অর্জন করতে হলে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০-এ নামিয়ে আনতে হবে। যেটি এখন ১৬৪। অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি কমাতে হবে। শিশুমৃত্যুর হার ১২-এ নামিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, আটটি বিভাগে আটটি হাসপাতাল হচ্ছে। যেখানে ক্যান্সার, কিডনি ও হার্টের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রতিটি জেলায় একটি করে ৩০ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করেছি। ইতোমধ্যে প্রতিটি জেলা হাসপাতালে দশ বেডের আইসিইউ ও ডায়ালাইসিসের কাজ প্রায় শেষের পথে। হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হচ্ছে। হেলথ সেক্টরের ডিজিটাইজেশনের কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আগামীতে আমরা এই সুফল পাব।

অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোলজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডা. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনের সভাপতি অধ্যাপক. ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, ইন্টারন্যাশনাল অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি ডা. জেনি এ কনরি, সোসাইটির সাবেক সভাপতি ডা. টি এ চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক শাহেলা খাতুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম প্রমুখ।

আরও সংবাদ পড়ুন।

সারাদেশে ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ হাইকোর্টের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top