৭০০ কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য জাল দলিল তৈরি
অপরাধ প্রতিবেদকঃ খাগড়াছড়ি জেলাধীন রামগড়ে ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১’-এর নির্মাণ-পরবর্তী সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় সরকার কর্তৃক জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের ৭০০ কোটি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে জাল দলিল তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয় ভূমিদস্যু ও ভূমি অফিসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর চক্র জাল দলিলের মাধ্যমে অপদখল করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় জমির মালিকরা।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর২০২২) জাতীয় প্রেসক্লাবে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রামগড় সোনাইপুল জনসাধারণের ভূমি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভূমি রক্ষা কমিটি আহ্বায়ক ও রামগড় ২ নম্বর পাতাছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শের আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১-এর নির্মাণ-পরবর্তী সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ‘বারৈয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ শীর্ষক প্রকল্প’-এর জন্য ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে রামগড় এবং এই এলাকার বাইরের কিছু ভূমিদস্যু, রামগড় উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর এবং ২২৯ নম্বর রামগড় মৌজার মৌজা প্রধানের (হেডম্যান) যোগসাজশে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের ভূমি জালজালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের অধিগ্রহণের ৭০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছে।’
তিনি অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘জমি জালিয়াতির মূল হোতা উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কারবারি ত্রিপুরা, তিনি বর্তমান এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ভাতিজির জামাই। এ ছাড়া এই চক্রে আরও জড়িত আছেন স্থানীয় মেয়র রফিকুল ইসলাম কামাল, জেলা সার্ভেয়ার দেলোয়ার, উপজেলার সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর।’
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান জানিয়ে শের আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও তারা কোনও প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, সদস্য অধ্যাপক ফারুক রহমান সদস্য ফারুক আহমেদ, এরশাদ উল্লাহ ও আনোয়ার উল্লাহ সহ আরও অনেকে।