ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৭৫ নং ওয়ার্ডে কমিশনার আকবরের অনিয়ম ও দূর্নীতি
সাগর চৌধুরীঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের
সাবেক নাসিরাবাদ ইউনিয়ন হালে ৭৫নং ওয়ার্ড, ঢাকা ওয়াসা আওতাধীন ঢাকা এনভায়রন সেন্টাল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট (DESWSP) ০২.৭ প্যাকেজ আওতায়, মডস জোন নং- ৬ এর আওতাধীন নাসিরাবাদ এলাকায় পানির লাইন স্থাপন ও পূর্ণবাসন কাজের রাস্তা খননের ক্ষতিপূরণের- ৩৩,২৮,৭৫৬/- (তেত্রিশ লক্ষ আটাইশ হাজার সাতশত ছাপ্পান্ন) টাকা সহ প্রায় এক কোটি তিন লক্ষ আটাশ হাজার সাতপ্ত ছাপ্পান্ন) সরকারী টাকা আত্মসাৎ করেন দায়িত্বে থাকা কমিশনার আকবার হোসেন।
সাবেক নাসিরাবাদ, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হালে
৭৫নং ওয়ার্ড, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর কাউন্সিলর মোঃ আকবর হোসেন, পিতাঃ মৃত- সুরত আলী, মাতা- ফুল মেহের বিবি, বর্তমান ঠিকানাঃ ১৯ নং পূর্ব মাদারটেক সিকদার ভবন, পোঃ বাসাবো, থানা- সবুজবাগ, ঢাকা- ১২১৪।
কাজের রাস্তা কাটার ক্ষতি পূরণ হিসাবে ত্রিমোহনী নদীপাড়া রাস্তা মেরামতের জন্য তিনটি চেকের মাধ্যমে ৩৩,২৮,৭৫৬/- (তেত্রিশ লক্ষ আটাইশ হাজার সাতশত ছাপ্পান্ন) টাকা নাসিরাবাদ ইউনিয়নের নামে প্রদান করা হয়। যার
(1) চেক নং- STA ১৩৩৮-৭৩৫ তারিখঃ ১৯/০১/২০১৬ ইং একাউন্ট নং- ৪১২৭২০০০০৮০৬৩ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। মোট টাকা ৪,৫৭০/- (চার হাজার পাঁচশত সত্তর) টাকা।
(২) চেক নং- STA ৪৩৩৯১৪২ তারিখঃ ১৯/০৩/২০১৭ ইং একাউন্ট নং- ০৭২১৩৩০০০০২৪০৩ (SIBL) ৩০,৯১,৬৯৪/- (ত্রিশ লক্ষ একানব্বই হাজার ছয়শত চৌরানব্বই) টাকা।
(৩) চেক নং- STA ৪৩৩৯০৯৪ তারিখঃ
২৪/০৫/২০১৮ ইং একাউন্ট নং- ১১১১০০৩৭৩ (ঢাকা ব্যাংক) ২,৩২,৪৯৩/- (দুই লক্ষ বত্রিশ হাজার
চারশত তিরানব্বই) টাকা। তিনটি চেকে সর্বমোটঃ ৩৩,২৮,৭৫৬/- (তেত্রিশ লক্ষ আটাইশ হাজার
সাতশত ছাপ্পান্ন) টাকা।
সেই কাজ টাকা রাস্তা মেরামতের কাজে খরচ না করে কমিশনার মোঃ আকবর হোসেন সম্পূর্ণ টাকাই আত্মসাৎ করেন।
সেই সাথে মোঃ আকবর হোসেন, নাসিরাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তারপ্রায় আরও ৭০,০০,০০০/- (সত্তর লক্ষ) টাকা কাজ না করে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি দুদকের তফসিল ভুক্ত অপরাধ হিসাবে দুদক তদন্ত করলে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ এর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে, কমিশনার মোঃ আকবর হোসেন সম্পর্কে তারা বলেন, তিনি তো বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। তার কুকর্মের শেষ নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কিভাবে অনিয়ম ও দূর্নীতি করেন? দুদক কি করছে প্রশ্ন স্থানীয়দের?
এই বিষয়ে জানতে স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, এই প্রকল্প ছাড়াও তিনি বিভিন্ন রাস্তা ও ড্রেন নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আজ মঙ্গলবার কমিশনার আকবার এর কার্যালয়ে গেলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আপনাকে কিছুই বলবো না। এগুলোর তদন্ত হয়ে সিটিকর্পোরেশনে হিসাব পত্র জমা হয়ে গেছে।