পুলিশের ডিআইজির নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে জমি দখল
অপরাধ প্রতিবেদকঃ কখনো খামার বাড়ি,কখনো ডিআইজি, আবার কখনও ক্রয় সূত্রে মালিক, এরকম নামে বেনামে সাইনবোর্ড টানিয়ে সাভার আশুলিয়ার আউকপাড়া নবাব এস্টেটের ২৭.৫৪ একর জমি অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন,স্থানীয় ভূমিদস্যু শহিদুল্লাহ দেওয়ান ও তার সহযোগীরা।
সম্প্রতি ঢাকা জেলা সাভার উপজেলাধীন হালে আশুলিয়া আউকপাড়া মৌজার ভূমি সংস্কার বোর্ড, কোর্ট অফ ওয়ার্ডস ঢাকা নবাব এস্টেট হতে তফসিল বর্ণিত লীজ, সাভার উপজেলার রফিজ উদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে কামাল হোসেন মাস্টারকে, সরকারি নিয়ম ও বিধি মোতাবেক আবেদনের প্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ধীন ভূমি সংস্কার বোর্ড, অফিসিয়াল সকল নিয়ম-নীতি মোতাবেক সাভারস্থ হালে আশুলিয়া আউকপাড়া মৌজা হতে১২.৯০ একর সম্পত্তি ১২৯ জন ভূমিহীন ব্যক্তিএবং ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা সহ কামাল হোসেন মাস্টারকে গত০৯-০৩-২০১৫ইং তারিখ কোর্ড অব নবাব এস্টেট এর যুগ্ম সচিব কে এম কবির আহমেদ এর স্বাক্ষরিত স্মারক নং ডিএন-২৮-৪/৯৮(অংশ-৩)/২৪৪-লীজ প্রদান করেন ভূমি সংস্কার বোর্ড।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভূমিদস্য শহীদুল্লাহ দেওয়ান প্রকৃত জমির মালিক কামাল মাস্টারএর সাইনবোর্ড সরিয়ে আশুলিয়া পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ হাসিব শিকদারের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতায় ভূমিদস্যু শহীদুল্লাহ গংরা তাদের বানানো ভূয়া সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। দেখা গেছে, সাইনবোর্ডে ডিআইজি মাসুদ মিয়ার নাম উল্লেখ থাকলেও মোবাইল নাম্বারটি{০১৭১২৫৫১৪০৯} ছিল আলামিন নামীয় এক লোকের।পরে এ বিষয়ে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারে ফোন করা হলে আলামিন নিজেকে ডিআইজির ছোট ভাই বলে স্বীকার করে।অথচ মাসুদ মিয়া নামে বাংলাদেশ পুলিশে কোন ডিআইজি পাওয়া যায়নি,তবে মিয়া মাসুদ করিম নামে অতিরিক্ত ডিআইজি রয়েছেন,এ বিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মিয়া মাসুদ করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমার নামে আশুলিয়াতে কোনো জমি নেই হয়তো বুয়া সাইনবোর্ড লাগাতে পারে আর আমার নাম হয়েছে মিয়া মাসুদ করিম সাইনবোর্ডে আছে মাসুদ মিয়া হয়তো এই জমি অন্য কারো হতে পারেl
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভূমিদস্যু শহীদুল্লাহ দেওয়ান ভুয়া দলিল বানিয়ে নবাব এস্টেট(ভূমি সংস্কার বোর্ডের)জমি নিজের ক্রয় সূত্রে মালিকানা দাবি করে, এছাড়াও আদালতে ভূমি সংস্কার বোর্ড মামলা দায়ের করলে”শহীদুল্লাহ দেওয়ান ভূমি সংস্কার বোর্ডের কাছে মামলায় হেরে যান, অবশেষে ভুয়া দলিল দিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলে হাইকোর্ট মামলা না নিয়ে বিচারপতি বলেন,এই ভুয়া দলিল পত্র দিয়ে আর কখনো ভূমি সংস্কার বোর্ডের জমির এগেনস্টে শহীদুল্লাহ দেওয়ান মামলা দায়ের করতে পারবেন না।অবশেষে ভূমি খেকো শহীদুল্লাহ দেওয়ান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের কাছে মামলায় হেরে গিয়ে, এক এক সময় এক এক সাইনবোর্ড টানিয়ে লুকোচুরি খেলা খেলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তিনি গত ৮/১১/২২ তারিখ দিবাগত রাতে জমির ভিতরে ছোট একটি ঘরে আগুন লাগিয়ে তিনি মামলা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে শহীদুল্লাহ দেওয়ানকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি, মেসেজ খুদেবার্তা পাঠালেও তিনি কোন রিপ্লে দেননি।
ভুক্তভোগী কামাল মাস্টার বলেন, ভূমি সংস্কার ভোট হতে আমাদের ১২৯ জন ভূমিহীন এবং অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ব্যক্তির নামে ১২.৯০ একর লিজ দিয়েছেন আজ থেকে গত ১১ বছর আগে। কিন্তু এই শহীদুল্লাহ দেওয়ান আমার দখলের সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে ভূমিদস্যু শহীদুল্লাহ দেওয়ান এক এক সময় এক এক সাইনবোর্ড লাগিয়ে জমি দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।