ছাত্র – ছাত্রী নেই ক্লাসে! পাঁচজন টিচার গল্প গুজব করে সময় কাটায়

Picsart_22-07-25_13-00-48-182-scaled.jpg

ভোলার জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৩২ নং চরগঙ্গাপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলনের সঠিক নিয়ম মানছেন না স্কুলের শিক্ষকরা। সরকারের পতাকা উত্তোলনের বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ পতাকা অবমাননা দন্ডনীয় অপরাধ

সাগর চৌধুরীঃ ভোলার জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৩২ নং চরগঙ্গাপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী একজনও নেই ক্লাসে। স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার খোঁজ না করে স্কুলে এসে গল্পগুজব করে সময় কাটায়।

সততার কথা স্কুলের দেয়ালে লেখা থাকলেও স্বয়ং প্রধান শিক্ষক স্কুলের বরাদ্দ নয় ছয় করেছেন। স্কুলের জন্য সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন। প্রধান শিক্ষক ও অন্য অন্যরা পরিকল্পিত ভাবে সরকারের বিভিন্ন বরাদ্দ আত্মসাৎ করার প্রমানও আছে স্থানীয়দের কাছে।

৩২ নং চরগঙ্গাপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল কমিটির সভাপতির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ করেন নি।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনের যোগসাজশে এসব অনিয়ম করে আসছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অভিযোগ স্কুলে পড়াশোনা করা বাচ্চাদের অভিভাবকদের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন নিয়মিত স্কুল ভিজিট করেন না। এছাড়াও নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি’র যোগসাজশে অনিয়ম করেছেন শিক্ষকরা। সরকারের বরাদ্দ বিভিন্ন টাকা লুটপাট করেছেন। কাজ না করেও ভূয়া বিল ভাউচারে সরকারের অর্থ নয়ছয় করছেন তারা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্য অন্য পাঁচ জন শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত থাকলেও একজন স্টুডেন্ট নেই স্কুলে। কেন স্টুডেন্ট নেই? নিউত্তর সকলেই।

৩২ নং চরগঙ্গাপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে অতিগোপনে যোগাযোগ করলে, স্কুলের বাচ্চারা বলেন, নিয়মিত স্কুলেই আসেন না শিক্ষকরা। যদিও শিক্ষকদের তদারকি করার জন্য কর্মকর্তারা আছেন। তারাই বা কি করেন এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের?

স্লিপের টাকা, মেরামতের জন্য বরাদ্দ সহ আরও সরকারের যে বরাদ্দ আছে গত কয়েক বছরের কাজের হিসাব চাইলেও যে কেউ বুঝতে পারবে স্কুলের বরাদ্দ নয় ছয়ের প্রমান। এমনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেসরকারি একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠা করে সেখানে নিয়মিত ক্লাসকরানোর প্রমানও পেয়েছেন স্থানীয় অভিযোগ করিরা। যা সরকারি চাকুরী বিধান পরিপন্থী।

৩২ নং চরগঙ্গাপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে পতাকা অবমাননা বিষয়টি এলাকায় সোরগোল পড়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, শিশুরা শিক্ষকদের কাছে পতাকা উঠানো এবং নামানোর বিষয়ে জানবে। কিন্তু সঠিক নিয়ম মানছেন না স্কুলের শিক্ষকরা।

সরকারের পতাকা উত্তোলনের বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ পতাকা অবমাননা দন্ডনীয় অপরাধ।


জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন শিক্ষকরা। যা সরকারি আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে আইনে।

এর আগেও স্কুলের পতাকা অবমাননায় বোরহানউদ্দিন একাধিক অভিযোগ করলেও শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি উপজেলা সরকারি প্রথমিক শিক্ষা অফিসের ঘুষখোর কর্মকর্তাগণ।

সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয়রা জানান, রির্পোট করলে সেই রিপোর্ট চাপা পড়ে যায়। কর্মকর্তারা ঘুষ খেয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করে না। কারণ চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।

আরও সংবাদ পড়ুন।

ভোলায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি; ৫৫ জনের ফলাফল বাতিল

আরও সংবাদ পড়ুন।

বড়মানিকা ইউনিয়নে ৩ নং মধ্যবাটামারা সরকারি বিদ্যালয়ে; প্রধান শিক্ষক সহ অনউপস্থিত ৪ শিক্ষক

আরও সংবাদ পড়ুন।

বোরহানউদ্দিন কুতুবা ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি;স্কুল শিক্ষক জেল হাজতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top