সাবেক জেলা জজ রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের

PicsArt_12-15-08.47.03.jpg

সাবেক জেলা জজ রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের

সাগর চৌধুরীঃ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. রুহুল আমীন খোন্দকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটি সহকারী পরিচালক মানসী বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের জনসংযোগ দপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।

জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ২০ এপ্রিল মো. রুহুল আমীন খোন্দকার মুন্সেফ হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। সর্বশেষ জেলা জজ হিসেবে চাকরিরত অবস্থায় দুর্নীতি ও অসদাচরণের দায়ে ২০১৬ সালে ২৪ অক্টোবর মাসে সরকারি চাকরি (জেলা জজ) থেকে অপসারণ করা হয় তাকে। তার স্ত্রী মরিয়ম জামিলা একজন গৃহীনি। তার কোনো আয়কর নথি কিংবা আয়ের কোনো উৎস নেই।

আরও জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. রুহুল আমীন খোন্দকার ২০২০ সালে ৭ নভেম্বরে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ২ কোটি ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪৬ টাকা মূল্যের সম্পদের হিসাব দেন। যার মধ্যে ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া ২০২১ সালে ২৮ জানুয়ারি সংশোধিত সম্পদ বিবরণীতেও তিনি তার ও তার স্ত্রী এবং সন্তানের নামে আরআরটেক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকৃত ৩৫ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। যেখানে দুদক দেখতে পেয়েছে রুহুল আমীন চাকরিরত অবস্থায় তার অবৈধ আয় দ্বারা তার স্ত্রী মরিয়ম জামিলা ( ১০ %) এবং তার ছেলে খোন্দকার তারিক আমিন রনিকে ( ৫ % ) পরিচালক এবং নিজেকে আরআরট্যাক্স ইন্টারন্যাশনালের ১০ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার হিসেবে দেখিয়ে কোম্পানি গঠন করেন। ওই কোম্পানি জয়েন্ট স্টক অ্যান্ড ফার্মের অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন করান। এভাবে মোট ৬৯ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ টাকার তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে দুদকের অনুসন্ধানে স্ত্রীসহ আত্মীয় স্বজনের নামে ৯১ লাখ ১১ হাজার ৭৭৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ ( ২ ) এবং ২৭ ( ১ ) ধারা ও দণ্ডবিধির ১৬৮ ধারায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top