তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লি:এর ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অপরাধ প্রতিবেদকঃ অভিযুক্ত মাে: মহিদুর রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপক (মিটারিং এন্ড ভিজিল্যান্স শাখা), মেট্রো বিক্রয় বিভাগ-২, মতিঝিল, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লি:, ঢাকা, বর্তমানে ব্যবস্থাপক, স্টেশন কন্ট্রোল শাখা, এসওডি (এমডি) অপারেশন ডিভিশন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লি:, মতিঝিল, ঢাকা; নিজ নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩৪,৭১,০০০/- (চৌত্রিশ লক্ষ একাত্তর হাজার) টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভােগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন’২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযােগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় দুদক, সজেকা, ঢাকা-১ এর মামলা নং-১৪, তারিখ-২৮-১১-২০২১ খ্রি: রুজু করা হয়।
দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই/অনুসন্ধানকালে তার নামে (১) ঢাকার খিলগাঁও থানার শহর খিলগাঁও মৌজায় টিনসেড স্থাপনাসহ ২.৫ কাঠা জমি (২) ঢাকার খিলগাঁও থানার শহর খিলগাঁও মৌজায় ২.৬ কাঠা জমি (৩) ঢাকার বাড্ডা থানার কাঠালদিয়া মৌজায় ০.৮০ কাঠা জমি ও (৪) টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার বাগকাটারী মৌজায় ৮৯ শতাংশ জমিসহ মােট ২৩,৬৪,৯৫৯/- টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ এবং আসবাবপত্র, হাতে নগদ ও ব্যাংকে জমা বাবদ মােট ৮১,১৪,৬৬৯/- টাকার অস্থাবর সম্পদসহ বিবাহের উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ৫০ ভরি স্বর্নালংকারের তথ্য/রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়। অর্থাৎ তার নামীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মােট মূল্য (২৩,৬৪,৯৫৯ + ৮১,১৪,৬৬৯) = ১,০৪,৭৯,৬২৮/- টাকা। অন্যদিকে তার ঋণ/দায় রয়েছে ২২,৪৪,৭৮৩/- টাকা। কাজেই ঋণ বাদে তার নামে অর্জিত নীট সম্পদের মূল্য ১,০৪,৭৯,৬২৮ – ২২,৪৪,৭৮৩ = ৮২,৩৪,৮৪৫/- (বিরাশি লক্ষ চৌত্রিশ হাজার আটশত পঁয়তাল্লিশ) টাকা।
অনুসন্ধানকালে মাে: মহিদুর রহমানের চাকুরীর বেতন-ভাতা, তিতাস গ্যাস কোম্পানী হতে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ও শিক্ষাভাতা এবং গৃহ সম্পত্তির আয় বাবদ সর্বমােট ১,৩৩,১২,৩২৬/- টাকা আয়ের তথ্য/রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিনি স্ত্রীকে দান করেন ৫৮,০০,০০০/- টাকা ও পারিবারিক ব্যয় ২৭,৪৮,৪৮১/- টাকা সহ তার মােট ব্যয় (৫৮,০০,০০০ + ২৭,৪৮,৪৮১)= ৮৫,৪৮,৪৮১/- টাকা। অর্থাৎ স্ত্রীকে দান ও পারিবারিক ব্যয় বাদে তার নীট সঞ্চয় (১,৩৩,১২,৩২৬-৮৫,৪৮,৪৮১)=৪৭,৬৩,৮৪৫/- টাকার বিপরীতে তার নামে অর্জিত নীট সম্পদের মূল্য ৮২,৩৪,৮৪৫/- টাকা। অতিরিক্ত (৮২,৩৪,৮৪৫ -৪৭,৬৩,৮৪৫) = ৩৪,৭১,০০০/- (চৌত্রিশ লক্ষ একাত্তর হাজার) টাকার সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে তার আয়ের উৎসের স্বপক্ষে কোন রেকর্ডপত্র সম্পদ বিবরণী যাচাই/অনুসন্ধানকালে না পাওয়া যায়নি যা তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালােচনায় প্রতীয়মান হয়।