ভোলায় কীটনাশক ও সারের নামে ইটের গুড়া, প্রতারিত হচ্ছেন কৃষক; দেখার কেউ নেই!
জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার প্রতিটি উপজেলায় ভেজাল দানাদার কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষক। একশ্রেণির অসাধু কীটনাশক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল ও নিম্নমানের কীটনাশক বিক্রি করে আসছেন।
ভোলা জেলা পর্যায়ে কীটনাশক পরীক্ষার নেই কোনো ব্যবস্থা। আর এই সুযোগে দেদারসে নিম্নমানের ভেজাল কীটনাশক ও সার বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি উপজেলায়।
ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মেধুয়া ইউনিয়নের কৃষক আজমল হক জানান, আমরা মাঠে মারা যাচ্ছি। কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেও কোন সঠিক দিক নির্দেশনা পাই না। ওষধ যারা বিক্রি করে তারা পরামর্শ দেয়, কিন্তু তাদের পরামর্শে ওষধ দিয়ে আমরা মাঠে মারা যাচ্ছি। টাকার মত টাকা যায় কিন্তু কোন ফল পাই না।
এদিকে তজুমদ্দিন উপজেলায় রহমান নামের এক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, আখ চাষ করতে গিয়ে পটাস সহ আরও অন্য অন্য সার ক্ষেতে দিয়েছি কিন্তু কোন কাজ করে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও কোন উত্তর দেন নি। আমরা পড়েছি এক মহা বিপদে। সরকার এবং সরকারের কর্মকর্তারা আমাদের বিষয়ে মনোযোগ দেবার সময় তাদের নাই।
জেলার ভিবিন্ন উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, এই জেলার কৃষকরা কোন রকম সহযোগিতা কৃষিকর্মকর্তাদের কাছ থেকে পায় না। তারা নিদিষ্ট কিছু দালাল ও কৃষি সংগঠনের নামে ভূইফোর সংগঠনের সদস্যদের সাথে আতাত করে সরকারের বিভিন্ন বরাদ্দ আত্মসাৎ করে।
ভোলা সদর উপজেলার কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা বছরের পর বছর একই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করার কারণে কে কোন দলের সেটা জেনে গেছে, ফলে তারা সরকার দলীয় লোকজনের দিকে তাদের মনোযোগ বেশি। কিন্তু সাধারন কৃষকের সার, বীজ এবং কীটনাশকের দিকে নজর নেই।
এই সব বিষয়ে ভোলা জেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কোন কৃষক কি পায় নি! সেটা আমি কিভাবে বলল? তাছাড়া আমি জেলার বাহিরে আছি। আপনি অফিস টাইমে ফোন করেবেন।
ভোলার সার নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে এবং কীটনাশক ও সারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, অফিস টাইমে ফোন করেন।
তবে ভেজাল স্যার ও ভেজাল কীটনাশক ব্যবহারের ফলে সরকার লক্ষমাত্রা হারাবে বলে আশঙ্কা করছেন জেলার স্থানীয় সচেতনরা।