বিশ্বকাপে টিকে রইল বাংলাদেশ

PicsArt_10-20-08.18.11.jpg

বিশ্বকাপে টিকে রইল বাংলাদেশ

ক্রিড়া প্রতিবেদকঃ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ওমানের বিপক্ষে হারের শঙ্কায় ভুগছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে সাইফউদ্দিন, সাকিব ও মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের আর টিকতে পারেনি মরুরাজ্যের দেশটির ব্যাটাররা বাংলাদেশের কাছে হার মানল ওমান। ২৬ রানে জিতল বাংলাদেশ।

ওমানের আল আমেরাতে মঙ্গলবারের ম্যাচে সৌম্য সরকারকে বসিয়ে ওপেনিংয়ে নাঈম শেখকে নামাল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।

আর নির্বাচকদের পরিকল্পনার সুবিচার করলেন নাঈম। তার ৫০ বলে ৬৪ রানের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ১৫৩ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

আর ১৫৪ রানের তাড়ায় দুর্দান্ত ব্যাটং করে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছিল ওমানের ব্যাটাররা।

১৬ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১০৪ রান করে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

হারের শঙ্কায় মুখ কালো হয়ে যায় গ্যালারির বাংলাদেশি সমর্থকদের। কিন্তু পরের ওভারেই বাংলাদেশের আকাশে জমা কালো মেঘে দূর করে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

এক ওভারেই নেন দুটি উইকেট। ১৭তম ওভারে সাকিবের ৪র্থ ও ৫ম ডেলিভারিতে আউট হয়ে যান ওমানের আয়ান খান ও নাসিম খুশি। খেলায় ফেরে বাংলাদেশ। এরপর সাকিবকে অনুসরণ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনিও দুটি উইকেট নিলে ওমানের জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে যায়।

ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি আজ। তাসকিন আর মোস্তাফিজ মিলে ২ ওভারেই দিলেন ৯টি অতিরিক্ত রান। মোস্তাফিজ এক ওভারেই করলেন ৫টি ওয়াইড। মাহমুদউল্লাহ ছাড়লেন ক্যাচ।

সব মিলিয়ে দুর্বল ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলটিকে খুব অচেনাই লাগছিল সবার।

শেষ দিকে বোলিংয়ে সাকিব-মোস্তাফিজ জ্বলে না উঠলে বিদায় ঘণ্টা বেজে যেত মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর।

১৬তম ওভার শেষে জয়ের জন্য ওমানের সমীকরণ ছিল ২৪ বলে ৫০ রান। হাতে পাঁচটি উইকেট।

এ সময়ে দলের ত্রাতা হয়ে আসেন অলরাউন্ডার সাকিব। মাত্র ৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। পরের ওভারে মোস্তাফিজুর ৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

এতে খেলার চিত্রটাই পাল্টে মাহমুদউল্লাহর হাতে চলে আসে। শেষ ৬ বলে ওমানের প্রয়োজন পড়ে ৩৯ রানের। অথচ ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইতোমধ্যে।

ওভারের পঞ্চম বলে মোস্তাফিজকে নাদিম ছক্কা হাঁকালেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

২৬ রানে জয় নিয়ে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ওঠায় টিকে রইল বাংলাদেশ।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওমানের মতো দলের বিপক্ষে ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। সেই অবস্থা থেকে দলকে খেলায় ফেরান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।

তৃতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েন ৮০ রানের জুটি। দলীয় ১০১ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তার আগে ২৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে করেন ৪২ রান।

ব্যাটিংয়ে প্রমোশন নিয়ে চারে খেলতে নেমে কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। চার বলে মাত্র ৩ রান করে ফেরেন তিনি।

এরপর একাই লড়াই চালিয়ে যান নাঈম শেখ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সৌম্যর কারণে একাদশে জায়গা হয়নি নাঈমের।

বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বেশ সাবধানি ব্যাটিং করেন নাঈম শেখ। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কারণেই ১৫৩ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ।

তবে শেষ চার ওভারে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট পতনের কারণে শেষ ২৪ বলে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি টাইগাররা।

ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের ১৬.৪ ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ৫০ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় করেন ৬৪ রান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top