সরকারি সম্পদের ক্ষতি – আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

PicsArt_08-16-08.14.15.jpg

সরকারি সম্পদের ক্ষতি – আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

সাগর চৌধুরীঃ মোহাম্মদ আলী (বয়স-৪০ বছর), প্রোঃ মেসার্স বশির কোম্পানী জেলা- সিলেট কর্তৃক সিলেট জেলাধীন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অর্ন্তগত চিকাঢুরা মৌজাস্থিত শাহ আরেফিন টিলার ২৫ হেক্টর তথা ৬১.০০ একর জায়গা পাথর উত্তোলনের জন্য ইজারা গ্রহণ করে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে ১৩৭.৫০ একর জুড়ে অবস্থিত সম্পূর্ণ টিলা থেকে ২৫১,৫৫,৯০,০০০/- (দুইশত একান্ন কোটি পঞ্চান্ন লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা মূল্যের ৬২৮৮৭৫০ ঘনফুট সরকারি পাথর প্রতারণামূলকভাবে অবৈধ উপায়ে উত্তোলন করে নিয়ে সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন করত: নিজে আত্মসাত করে দঃ বিঃ ৪২০/৪০৬ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মোহাম্মদ আলী, প্রোঃ মেসার্স বশির কোম্পানী, পিতা- মোঃ জিয়াদ আলী,সিলেট এর বিরুদ্ধে শাহ আরেফিন টিলা থেকে প্রতারণামূলকভাবে অবৈধ উপায়ে ২৫২,৭৫,৯০,০০০/- (দুই শত বায়ান্ন কোটি পঁচাত্তর লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা মূল্যের ৬২৮৮৭৫০ ঘনফুট সরকারি পাথর উত্তোলনপূর্বক সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন করে আত্মসাত করার অভিযোগে দঃ বিঃ ৪২০/৪০৬ ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেন মোঃ ইসমাইল হোসেন সহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, সিলেট ।

দুদক, সজেকা, সিলেটের তদন্ত (মামলা) নং-১৮/২০২১(সিলেট), তারিখ-১৩/১০/২০২১ খ্রি.।

দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এর অধীন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, সেগুনবাগিচা, ঢাকা এর ১৩ টি শর্ত পালন সাপেক্ষে সিলেট জেলা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অর্ন্তগত চিকাঢুরা মৌজায় তথা (শাহ আরেফিন) টিলার ২৫ হেক্টর তথা ৬১ একর এলাকা হতে সাধারণ পাথর উত্তোলনের নিমিত্ত ০৫/০৪/২০০৫ খ্রিঃ তারিখ হতে পরবর্তী এক বছরের জন্য মেসার্স বশির কোম্পানী এর অনুকূলে পাথর কোয়ারিটি ইজারা প্রদান করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে উক্ত কার্যালয়ের স্মারক নং- ২৩৬৫(১৩), তারিখ- ২০/০৪/২০০৪ খ্রিঃ মূলে ইজারা গ্রহীতা মেসার্স বশির কোম্পানীকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর মেসার্স বশির কোম্পানীর মালিক মোহাম্মদ আলী শাহ আরেফিন টিলার পাথর কোয়ারী হতে ইজারাদেশে প্রদত্ত শর্ত ভঙ্গ করে পাথর উত্তোলন করায় পরিচালক, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো উক্ত কোয়ারী হতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ইজারা গ্রহণকারী মেসার্স বশির কোম্পানীর মালিক জনাব মোহাম্মদ আলী খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর উক্ত আদেশ অমান্য করে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখেন। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জনাব মোহাম্মদ আলী শাহ আরেফিন টিলার ইজারা গ্রহীতা হিসেবে সর্বপ্রথম পাথর মহাল হিসেবে সাধারণ পাথর উত্তোলনের জন্য ২৫ হেক্টর তথা ৬১.০০ একর জায়গা ইজারা মঞ্জুরী নিলেও তিনি ১৩৭.৫০ একর জুড়ে অবস্থিত সম্পূর্ণ টিলা থেকে পাথর উত্তোলন করায় সময় পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ খ্রিঃ অনুসারে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও ইজারা গ্রহীতা এ ক্ষেত্রে তা গ্রহণ করেননি। সার্বিক বিচারে অবৈধভাবে উক্ত টিলা কর্তন করে পাথর উত্তোলন করায় পরিবেশগত ও প্রতিবেশগত অবস্থার পরিমেয় ও অপরিমেয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অর্থাৎ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জনাব মোহাম্মদ আলী শাহ আরেফিন টিলার ২৫ হেক্টর তথা ৬১.০০ একর জায়গা পাথর উত্তোলনের জন্য ইজারা নিলেও তিনি অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে ১৩৭.৫০ একর জুড়ে অবস্থিত সম্পূর্ণ টিলা থেকে ২৫২,৭৫,৯০,০০০/- (দুই শত বায়ান্ন কোটি পঁচাত্তর লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা মূল্যের ৬২৮৮৭৫০ ঘনফুট সরকারি পাথর প্রতারণামূলকভাবে অবৈধ উপায়ে উত্তোলন করে সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন করেছেন এবং তিনি নিজে প্রতারণামূলকভাবে অবৈধ উপায়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ২৫২,৭৫,৯০,০০০/- (দুই শত বায়ান্ন কোটি পঁচাত্তর লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা মূল্যের ৬২৮৮৭৫০ ঘনফুট সরকারি পাথর আত্মসাত করে দঃ বিঃ ৪২০/৪০৬ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জনাব মোহাম্মদ আলী, প্রোঃ মেসার্স বশির কোম্পানী, পিতা- মোঃ জিয়াদ আলী,সিলেট এর বিরুদ্ধে শাহ আরেফিন টিলা থেকে প্রতারণামূলকভাবে অবৈধ উপায়ে ২৫২,৭৫,৯০,০০০/- (দুই শত বায়ান্ন কোটি পঁচাত্তর লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা মূল্যের ৬২৮৮৭৫০ ঘনফুট সরকারি পাথর উত্তোলনপূর্বক সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধন করত: আত্মসাত করার অভিযোগে দঃ বিঃ ৪২০/৪০৬ ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা করেন সহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, সিলেট মোঃ ইসমাইল হোসেন।

দুদক, সজেকা, সিলেটের তদন্ত (মামলা) নং-১৮/২০২১(সিলেট), তারিখ-১৩/১০/২০২১ খ্রি.।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top