সম্প্রীতির এই বাংলাদেশ সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের – তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান

সম্প্রীতির এই বাংলাদেশ সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের – তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান

বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে শারদীয় দূর্গাউৎসব সনাতন ধর্মাম্বলীদের একার উৎসব আমি বিশ্বাস করি না। এটা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার উৎসব। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতি-ধর্ম-বর্ণ গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার উন্নয়নে কাজ করেছেন। আর তাই বাংলাদেশ এখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। এখানে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে সমভাবে উন্নয়নের সুফল উপভোগ করে বসবাস করছে বলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা.মো: মুরাদ হাসান এম,পি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ওপর সকলেরই অগাদ আস্থা রয়েছে বিধায় করোনাকালীণ সময়েও দেশে ৩২ হাজার ১শ ৮০ টি পুজা মন্ডপে সারম্বে শারদীয় দূর্গাউৎসব পালন করছে।

শৌশবের স্মৃতি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরোও বলেন; ছাত্র জীবনে আমরাও শারদীয় দূর্গাউৎসবে সনাতন ধর্মাম্বলী বন্ধুদের বাড়ীতে যেতাম নানা ধরনের খাবার খেতাম, আমাদের মা বাবা তো কখনই এব্যাপারে কোনো কথা বলেনি বরং আমাদের উৎসবে সেই বন্ধুদের দাওয়াত করার জন্য মা বাবা নির্দেশ দিত। সবল ধর্মের লোক জনই সবল ধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন করছে,এটা আমাদের পূর্ব পুরুষদের শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশে এখন পুজা হচ্ছে মসজিদে আজান হচ্ছে নামাজ হচ্ছে।

আজ প্রতিমন্ত্রী সচিবালয় তার অফিসকক্ষে শারদীয়া দূর্গাপুজা উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

বিএনপি জামাত ক্ষমতায় এসেই দেশে ধর্মী বিভেদ সৃষ্টি পুজা উৎসবে বিশৃঙ্খলা করার সংস্কৃতি চালু করেছিল। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা হয় শরৎকালে। তাই এর নাম শারদীয় দুর্গোৎসব। হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব এর হাতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ কোটি টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও তিনি প্রতিটি পুজামন্ডপে পাচ শ কেজি চাল দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকার পুজামন্ডপে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সারে তিন হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। আমাদের সকলকে একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের অনুরোধ জানাই ডাঃ মুরাদ হাসান।

বিকেলে প্রেস কাউন্সিলের নবযোগদানকৃত চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক প্রতিমন্ত্রীর সাথে তার অফিসকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসেন।

এর পরে প্রতিমন্ত্রী ঠাটারী বাজার শিব মন্দির পুজামন্ডপে পরিদর্শন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top