আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বের প্রশংসার বাংলাদেশ – শ ম রেজাউল করিম

আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বের প্রশংসার বাংলাদেশ – শ ম রেজাউল করিম

বিশেষ প্রতিবেদকঃ আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বের প্রশংসার বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

গতকাল রবিবার (০৩ অক্টোবর) রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় কৃষক লীগ, সৌদি আরব শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

কৃষক লীগ, সৌদি আরব শাখার সভাপতি কামরুল হাসান জুয়েলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক। অন্যান্যের মধ্যে জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সিলর (লেবার) মো. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ হজ অফিস, জেদ্দার কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম এবং স্থানীয় প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন,“আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আজকের বাংলাদেশ শেখ হাসিনার স্বচ্ছ রাজনীতির বাংলাদেশ, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা বাংলাদেশ। সারা বিশ্বের প্রশংসার বাংলাদেশ। সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ। সে বাংলাদেশে প্রবাসীরা উন্নয়নের সহযোদ্ধা”।

তিনি আরো বলেন,“বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুঁড়ির বাংলাদেশ না, প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাংলাদেশ না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলা হয় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পরিশ্রমী, সৎ তিনজন প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম। সম্প্রতি জাতিসংঘে এসডিজির সাফল্যের জন্য তাঁকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে এবং সে অ্যাওয়ার্ডে বলা হয়েছে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে অনেক সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। এ অ্যাওয়ার্ড আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কাউকে দেওয়া হয়নি”।

বিএনপি-জামায়াত দেশে ব্যর্থ হয়ে বিদেশে বসে মিথ্যাচার করে উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন,“দেশের ভেতরে দুটি অংশ। একটি আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। আরেকটি হচ্ছে আওয়ামী বিরোধী। এই বিরোধী কারা? এরা স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের নতুন প্রজন্ম। যারা এখনো পাকিস্তানকে ভুলতে পারে নি, যারা সাম্প্রদায়িকতার কথা বলে, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বাদ দিয়ে আবার পাকিস্তানের স্বপ্নে বিভোর হতে চায়। দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করছে। বাংলাদেশে এখন বিএনপি-জামায়াতের ডাকে কোন লোক আসে না। দেশে ব্যর্থ হয়ে তারা বিদেশে বসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে”।

শ ম রেজাউল করিম এ সময় আরো যোগ করেন,“বিএনপির জন্মই মিথ্যাচারের মধ্য থেকে। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে বলেছে জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক আর বিচারপতি সায়েম এই তিনজনের ক্ষমতায় আসা ছিল অবৈধ। ফলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত যারাই ক্ষমতায় ছিলেন, তারা জনপ্রতিনিধি ছিলেন না, তাদের কর্মকান্ড ছিল অবৈধ। সে দৃষ্টিতে বিএনপির জন্ম নেওয়া অবৈধ। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সে সময় রাষ্ট্রপতি হওয়া ব্যক্তিরা দেশদ্রোহী, জবরদখলকারী এবং ফৌজদারী অপরাধ সংগঠনকারী”।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলদেশকে কার্যত পাকিস্তানে পরিণত করার চেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন,“জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করেছেন এবং খুনিদের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পদ-পদবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ফিরে এসে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ থাকবে। তিনি ভালো না থাকলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ থাকবে না। তিনি ভালো না থাকলে প্রাণ খুলে জয় বাংলা শ্লোগান দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে না”।

প্রবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া নানা সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন,“শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি সবসময় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। প্রবাসীরা বিদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার সন্তান”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top