দর্শকের মন কেড়ে শিশু মুন্না বনে যান ড্যান্সার মুন্না

PicsArt_09-10-12.31.46.jpg

দর্শকের মন কেড়ে শিশু মুন্না বনে যান ড্যান্সার মুন্না

বিনোদন প্রতিবেদকঃ নৃত্যশিল্পী মুন্না বলেন, ‘স্বাধীনতার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নৃত্যের প্রতিযোগীতায় মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ নৃত্য শিল্পী হই এবং যায়, নীলা, ভন্ডামি, ইয়াসমিন ট্রাজেডী, বাংলার বাদশাসহ আরো অনেক।

অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে পেয়েছি মঞ্চকুড়ি, মঞ্চসেনা ও মঞ্চমুকুল পদক। টেলিভিশনের অনেকগুলো নাটকে অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। যেমন: ভাঙন ছায়া নারী কায়া নারী, পল্লবের বিয়ে, হ্যাপি নিউ ইয়ার, রং বাহাারি।’

‘তখন বয়স ছিল দশ বছর। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে কোলে করে নিয়ে মঞ্চে উঠিয়ে দিল। একেইতো চোখে ঘুম অন্যদিকে মঞ্চের অনেক নাটকে অভিনয় করি। যেমন পায়ের আওয়াজ পাওয়া চতুর্দিকে দর্শকের ভীর। চোখ খুলে দেখি বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ ও দর্শকের হৈ চৈ। জানতে পারলাম আমার নাচতে হবে। এই যাত্রাপালার মঞ্চে। ঘুমের ভাব কাটেনি তখনো। তবে দর্শকের হৈ

চৈ’য়ে চোখের ঘুম যেন উড়ে গেলো বাতাসে, বাদ্যের তালে তালে নাচতে শুরু করি মঞ্চে। আমার নৃত্য দেখে মুগ্ধ হলো পুরো । এলাকাবাসী। এ একে একে টাকা ভুড়তে থাকে দর্শকবৃন্দরা। টাকা দেখে খুশিতে আমার মন ভরে গেলো। টাকার চেয়ে দর্শকই আমার কাছে প্রিয় হয়ে উঠলো। এই বয়সেই এত বড় মঞ্চে মৃত্য করে দর্শকদের অফুরন্ত ভালোবাসায় সিক্ত হলাম। কথা গুলো অবলিলায় বলে গেলেন নৃত্য

মুন্না আরও বলেন, ‘আমি আগে ছিলাম মুন্না কিন্তু এই নৃত্যের জন্য নামের সাথে যুক্ত করা হলো ড্যান্সার শব্দটি হয়ে উঠলাম ড্যান্সার মুন্না। ১৯৯০ সালের ঐ যাত্রা পালার মঞ্চের অনুষ্ঠানটি ছিল আমার নৃত্যের হাতেখড়ি। এরপর থেকেই শুরু হয় গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নৃত্যের জন্য আমাকে হাত ধরে শিল্পকলায় ভর্তি হই। এরপর ২০০০ সালে বুলবুল ললিত একাডেমিতে নৃত্যের ক্লাসে ভর্তি হই। লিখন রায় স্যারের কাছে সাধারণ নৃত্য এবং কার্তিক হালদার স্যারের উচ্চাঙ্গ নৃত্যের প্রশিক্ষণ নিই। নৃত্যে আমার সহ শিল্পী ছিল তানিন তানহা রহমান স্নিগ্ধা, বুবলি, মিষ্টি, বর্ষা, ছোয়া, বৃষ্টি, নুপূর, মনিকাসহ আরো অনেকে।’

মুন্না বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলার সর্ব প্রথম নৃত্যের সংগঠন সম্মিলিত নৃত্য শিল্পী পরিষদ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, অনিয়মিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন টেলিভিশন, করছেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। বাংলাদেশ। এটিএন বাংলা, একুশে টিভিতে নৃত্যের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেছেন।

মুন্না জানান, ‘প্রিয় নৃত্য সংগঠন সম্মিলিত নৃত্য শিল্পী পরিষদকে নিয়ে দেশের অনেক জেলায় নৃত্যের অনুষ্ঠান করেছি। নৃত্য আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে। এটা আমার নেশা যতদিন সম্ভব হয় নৃত্য করে যাব।’

১৯৮০ সালে দক্ষিণ চরমশুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নুরুন্নবী © নৃত্য শিল্পী @ ড্যাপার মুন্না। তার পিতা মৃত জসিম উদ্দিন সিকদার,

ডাকাডাকি । ১৯৯৫ সালে ওস্তাদ বাবলা “নৃত্য আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে মাতা-হোসনে আরা বেগম স্যারের কাছে প্রথম নৃত্য শেখা। তার এটা আমার নেশা, যতদিন সম্ভব হয় (শিক্ষিকা)। তারা তিন ভাই এক নৃত্য করে যাব।”

বোন। তিনি মুন্সীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে এইচএসসি ও সরকারি হরগঙ্গা কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন সরকারি তোলারাম মহাবিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন। মুন্সীগঞ্জ ‘ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাশ করেন। তিনি শহরের খালইস্ট এলাকায় বসবাস করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top