চর মানিকা ইউপি চেয়ারম্যান সফিউল্যা হাওলাদের বিরুদ্ধে অবৈধ খাল দখল,নারী কেলেংকারী সহ নানা অভিযোগ
চরফ্যাসন প্রতিনিধিঃ চরফ্যাসন উপজেলার চর মনিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফিউল্যা হাওলাদার এর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে জেলেদের খাল দখল করে ঘের তৈরী করে মাছ চাষ ও নারী কেলেংকারী সহ সরকারী চাল চুরি সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
দৌলতপুর এলাকার ১০০ বছরের পুরানো জেলেদের খাল দখল করে ঘের তৈরী করে মাছ চাষ করছেন তার দুই ছেলে শাহিন ও তুহিন। এলাকার শত শত জেলে স্কাক্ষরিত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগে উল্লেখ করেন ১০০ বছরের পুরানো টুমচরের এ খালটিতে শত শত জেলেদের মাছ ধরার নৌকা ট্রলার ছিল।
এ এলাকার লোকদের জীবিকা ছিল মৎস্য শিকার। বিভিন্ন সময় জেলেদের নৌকা এখানে আস্রয় নিত। এ খালটি দিয়ে হাজার হাজার একর জমির পানি নিস্কাসন হত। এলাকার চেয়রম্যান আওয়ামীলীগ এর প্রভাব দেখিয়ে খালটি দখল করে ঘের তৈরী করে মাছ চাষ করায় জেলেরা অসহায় হয়ে পড়ে। খালটি এস এ, দিয়ারা ১ নং খাস খতিয়ানে রয়েছে।
চরফ্যাসন পানিউন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী সরজমিনে তদন্ত করেছেন তিনি বলেন, চেয়ারম্যান খালটি অবৈধ ভাবে দখল করে আছে। তাকে খালটি মুক্ত করে দিতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, জেলেদের অভিযোগটি সহকারী কমিশনার ভুমিকে তদন্ত কারার জন্য দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
অপর দিকে চেয়ারম্যান সফিউল্যা হাওলাদার চর কচছপিয়ার নুরুল ইসলাম দালালের বিধাবা স্ত্রী মিলার সাথে পরকিয়া প্রেম করে বিয়ের প্রলভোন দেখিয়ে অবৈধ ভাবে মিলামেশা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তার ছেলে আস্রাফুর রহমান তুহিন ও মহিলাকে বিয়ে করতে চায়।
বিষয়টি পারিবারিক ভাবে নানা অশান্তি তৈরী করে।
এ ছাড়া চেয়ারম্যান সফিউল্যা হাওলাদার জেলেদের, বিজিএফ,বিজিডির চাল চাল চুরির সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
এলাকার কয়েজন কৃষক অভিযোগ করেন চেয়ারম্যনের ছেলে তুহিন চার পাঁচটি ট্রিলার দিয়ে চরের জমি চাষ করে অবৈধ ভাবে। কাউকে চরে ট্রিলার চালাতে দিচ্ছেনা।
এছাড়া বেড়ীবাঁধ বসবাস কারী অনেক অসহার নারী নির্যাতন না অপকর্ম করে বেড়ায় এ ব্যাপারে থানায় একাদিক মামলা হয়েছে। ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে গরিব লোকদের ভয়বিতি দেখিয়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করে।