দৌলতখানে নারীসহ পাঁচ জনকে পিটিয়ে আহত
মেহেদী হাসান শরীফ ভোলা উত্তর প্রতিনিধিঃ ভোলার দৌলতখানে হাঁস চুরির বিচার দেওয়ায় একই পরিবারের নারীসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করান।
আহতরা হলেন, সালমা আক্তার (৪০), তার ছেলে সালমান পারসি বাবর(২০), হাফেজ মো: সামিয়ান হাবসি জাবের (১২), মেয়ে ছিনথিয়া আরবি সাওদা (১০) ও ননদ আছিয়া (৪৫)।
অভিযুক্তরা হলেন, ওই এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে সাত্তার,জামাল,হেলাল, বাবুলের ছেলে ফাহাদ,আবুল কালাম ভূঁইয়ার ছেলে তুহিন, ইউনুসের ছেলে হামিম,জসিমের ছেলে জিসান, মো: হাতেমের ছেলে সানজিদ।
এ ঘটনা সালমা আক্তার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে দৌলতখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালমা আক্তার বলেন, কয়েকদিন আগে সাত্তারের ভাতিজা তুহিন,জিসান ও সানজিদ মিলে আমার বাড়ির খামার থেকে তালা ভেঙে সাতটি হাঁস চুরি করে নিয়ে যায়। হাঁস চুরির ঘটনাটি তুহিনের স্বজনদের কাছে বিচার দেওয়া হয়। স্বজনদের কাছে বিচার দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সালমা আক্তারকে গালমন্দ করেন তুহিন। গালমন্দর প্রতিবাদ করায় সালমা আক্তারকে বেধড়ক মারধর করেন সাত্তার, জামাল, হেলাল,ফাহাদ, তুহিন, হামিম, জিসান, সানজিদ সহ আরও অনেকে। খবর পেয়ে সালমা আক্তারের ছেলে সালমান পারসি বাবর, হাফেজ মো: সামিয়ান হাফসি জাবের, মেয়ে ছিনথিয়া আরবি সাওদা ও ননদ আছিয়া এগিয়ে আসলে তাদেরও বেধড়ক মারধর করে।
মারধর শেষে বাড়িতে গিয়ে বসতঘরে ঢুকে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন তারা।
৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। অন্যদিকে জামাল বলেন, আমরা তাদের কোন মারধর করেনি। এটা তাদের একটা সাজানো নাটক। আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জামাল দাবী করেন।
দৌলতখান থানার ওসি বজলার রহমান জানান, এঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় লিখিত আভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।