রোববার থেকে নিম্ন আদালতে সব মামলার বিচারকাজ ভার্চুয়ালি চলবে
আদালত প্রতিবেদকঃ আগামী ৮ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালতে ভার্চুয়ালি মামলার শুনানি চলবে। তবে এ সময়ে সাকসেশন ও অভিভাবকত্বের মামলা শারীরিক উপস্থিতিতে করা যাবে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ৮ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে দেশের অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহ সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি নরখাস্ত/আপীল/রিভিশন/বিবিধ মামলাসহ সব প্রকার শুনানি গ্রহণ (সাক্ষ্য ছাড়া) ও নিষ্পত্তি করবেন।
সার্কুলারে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে মামলা দায়ের করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণপূর্বক সাকসেশন ও অভিভাবকত্ব নির্ধারণ বিষয়ক মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে।
ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিরা অধস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শুনানি কার্যক্রমের পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে, যাতে আদালত প্রাঙ্গণে এবং আদালত ভবনে কোনোরূপ জনসমাগম না ঘটে। আত্মসমর্পণ দরখাস্ত শারীরিক উপস্থিতিতে শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ব্যতীত অন্য কোনো আইনজীবী এজলাস কক্ষে অবস্থান করবেন না।
একটি আত্মসমর্পণের শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এজলাস কক্ষ ত্যাগ করার পর বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তী আত্মসমর্পণের দরখাস্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।
এছাড়া, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানিকালে এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে হাজতি আসামিদের কারাগার থেকে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত কক্ষে হাজির না করার নির্দেশ দেওয়া হলো। হাজতি আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সের লিংক পাঠিয়ে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ভার্চুয়ালি দেখে রিমান্ড শুনানি করতে পারবেন।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।