বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় টাকা নেয়ার অভিযোগ
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বহুগুনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সাথে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু’র সংখ্যাও বাড়ছে।
এদিকে গ্রাম গঞ্জে জ্বর, কাশি, গলা ব্যাথা নিয়ে চলাফেরা করছে অনেকে। তাদের মধ্যে কিছু লোক করোনা আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতে সরকারি হাসপাতালে ছুটছে।
এ পরীক্ষা করাতে বোরহানউদ্দিন ৫০ শয্যা হাসপাতালে জন প্রতি ১শত টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠছে। টাকা নেয়ায় অনেকেই পরীক্ষা করাতে অনিহা করছেন।
করোনার প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়া গ্রাম গঞ্জের রোগীরা বোরহানউদ্দিন সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে ভীর জমাচ্ছেন।
প্রতিদিন ৫০ হতে ৫৫ জন মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে আসছেন। এতে ১৫ হতে ২০ জন করোনা রোগী সনাক্ত হচ্ছে।
আর এ সুযোগে করোনা পরীক্ষা করাতে জনপ্রতি ১ শত টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ল্যাব টেকনিশিয়ান আবু তাহের এর বিরুদ্ধে।
বোরহানউদ্দিন পৌর ৬ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মোঃ সুমন তালুকদার জানান, শনিবার সকালে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করতে গেলে ল্যাবে দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান আবু তাহের আমার কাছ হতে জোর পূর্বক ১ শত টাকা নেয়।
তবে মানি রিসিট চাইলে তা দেয় নি। এরকম সবার কাছ হতে ১ শত টাকা করে নেয়া হচ্ছে।
তবে প্রতিরোগীদের কাছ হতেই ১শত টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। ওই টাকা গুলো ফেরত দেয়া হয়নি। সরকারি হাসপাতালে টাকা নেয়ায় অনেকেই করোনা পরীক্ষা করাতে অনিচ্ছুক।
বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের টি.এস তাপতী চোধুরী জানান, সরকারি নির্দেশে এ মাসে কিছু দিন টাকা নেয়া বন্ধ ছিল। ওই টেকনিশিয়ান নতুন তাই ভুলে টাকা নিয়ে ফেলছে।
তবে, বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের টি.এস তাপতী চোধুরী’র বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিজেও এই টাকার একটা অংশ ভাগ নেন বলে অনেক রোগী অভিযোগ করেছেন।
তাছাড়াও তাপতী চোধুরী’র সরকারি হাসাপাতালে রোগী না দেখে তিনি (প্রাইভেট অনুমোদন হিন ক্লিনিকে) বেশী টাকা নিয়ে রোগী দেখেন। যা তিনি সরকারি চাকুরী করে করতে পারেন না।
টেষ্ট বানিজ্যের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত তাপতী চোধুরী’র সরাসরি (প্রাইভেট অনুমোদন হিন ক্লিনিকে)সাথে আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত।
যা বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের ইতিহাসে রেকর্ড করেছেন। সরকারী ওষধ চুড়িতেও তার হাত রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এসব বিষয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতার ছত্রছায়ায় ও শেল্ডারে গণমাধ্যম কর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছেন। তার বিপক্ষে বা তার অনৈতিক কাজের বিপক্ষে কোন নিউজ প্রকাশ করলে স্থানীয় সেই নেতা সাংবাদিকদের গালমন্দ করেন এবং তাদের হুমকি দামকি দেন।