বেদে, হিজরা ও যৌনপল্লীর বাসিন্দারা পেল একজন
মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা ডিআইজি হাবিবের ঈদ উপহার
সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে আবারো এগিয়ে এলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। এবার তিনি ঝিনাইদহ, মানিকগঞ্জ, পটুয়াখালী, গোপালগঞ্জ, সাভার ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় বেদে, হিজড়া ও পতিতাদের ঈদ উদযাপনের ব্যবস্থা করেছেন।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪৫০টি বেদে পরিবার ডিআইজি হাবিবুর রহমানের ঈদ উপহার পেয়েছে।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বেদে গোত্রের উপসম্প্রদায় সান্দারপাড়ার ৫০টি পরিবারের জন্য গরু দিয়েছেন। পটুয়াখালী জেলার রাঙাবালী থানার চরমন্তাজে অসহায় বেদে পরিবারের জন্য পাঠিয়েছেন ঈদ উপহার। সাভারে বেদে ও হিজড়াদের জন্য গরু দিয়েছেন। এছাড়াও দৌলতদিয়া পতিতাপল্লিতে ১ হাজার ৩০০ জনের জন্য ১৪ মণ ওজনের দুটি এবং ৯ মণ ওজনের একটি গরু দিয়েছেন।
গোপালগঞ্জের হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ঈদসামগ্রী পাঠিয়েছেন।এছাড়া দেশের ইন্টারসেক্স কমিউনিটির সদস্যদেরকেও ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন।
হাবিবুর রহমানের এ ধরনের সমাজসেবামূলক কাজের ফলে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মানুষেরা উপকৃত হচ্ছে। অনেকের সামাজিক অবস্থানে এসেছে পরিবর্তন । বেদে সম্প্রদায় ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জীবনমান বাড়াতে ও মূলধারায় উঠিয়ে আনতেও কাজ করছেন ডিআইজি হাবিব।
মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরের হাট বাসুদেবপুর গ্রামে সান্দার বেদে গোত্রের প্রায় ২০০টি পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস করে, যাদের শতভাগ মুসলমান। অথচ এই জনগোষ্ঠীর কেউ মারা গেলে মুসলমান হিসেবে তাদের সৎকারটুকুও করতে পারত না। পরিবারের সদস্য মারা গেলে আশপাশের কবরস্থানে তাদের কবর দিতে দেওয়া হতো না। ডিআইজি হাবিবুর রহমান সহকর্মীদের সহযোগিতায় একটি জায়গা খুঁজে পান। জমিটুকু কিনে নিয়ে তা দান করে দেন এই জনগোষ্ঠীর ২০০ পরিবারের কল্যাণে।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় বহু পুরোনো যৌনপল্লিতে প্রথমবারের মতো একজন যৌনকর্মীর পুরোপুরি ইসলামি প্রথা মেনে জানাজা পড়িয়ে দাফন করা হয়। পরে চেহলামেরও আয়োজন করা হয়।
ডিআইজি হাবিবুর রহমানের মতো এভাবে আরো মানুষ নিজ নিজ সামর্থ্যমত মানবতার কল্যাণে এগিয়ে এলেই সম্ভব জাতির পিতার স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণ।