“একজন তারেক রহমান ও একটি জাতির মুক্তির স্বপ্ন”
৭১ এর রণাঙ্গনের নায়ক ও ৭৫ এর নভেম্বরের সংকটময় পরিস্থিতি থেকে জাতিকে উত্তরণের দিকনির্দেশনা দেয়া এক বীরোচিত নাম জিয়াউর রহমান। “তলাবিহীন ঝুড়ি” উপাধি পাওয়া একটি দেশকে স্বনির্ভরতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, গড়েছন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
তার অনাকাঙ্ক্ষিত অকাল মৃত্যুর পরে সামরিক শাসন হটিয়ে দেশকে গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ উপহার দেয়া নারী নেতৃত্ব তারই সহধর্মিণী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেশের স্বার্থে যিনি কখনো, কারো সাথে আপোষ করেননি।
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরি দেশনায়ক তারেক রহমান। শুধু রক্তে নয়, আদর্শেও তাদের যোগ্য উত্তরসূরি তিনি।
বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কিশোর বয়স থেকেই দেশ সেবায় গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে গিয়েছেন তিনি, নিয়েছেন রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ। তৃণমূলের অন্তরে সহজেই জায়গা করে নেয়া এই নেতা হয়ে উঠেছেন “তারুণ্যের অহংকার”। প্রবীণ নেতৃত্বে অভ্যস্ত একটি জাতির সামনে দুরন্ত তারুণ্যের স্বপ্ন নিয়ে হাজির হন তারেক রহমান।
পারিবারিক উত্তরসূরিতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, প্রশিক্ষণ ও তৃণমূলে ছুটতে ছুটতে অল্পবয়সেই দক্ষ সংগঠক হয়ে ওঠেন তিনি। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে যুক্ত হয় একটি নতুন সম্ভাবনার নাম “তারেক রহমান “। দেশের সীমানা পেরিয়ে যখন তারেক রহমান আন্তর্জাতিক রাজনীতির আলোচনায় চলে আসেন ঠিক তখনি দেশবিরোধী একটি কুচক্রী মহল উঠেপড়ে লাগে এই অপার সম্ভবনাময় নেতৃত্বের পেছনে।
২০০৭ এর সামরিক শাসকরা নীলনকশা করেন জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে। যৌথবাহিনীর টর্চার সেলে অমানবিক নির্যাতন করা হয় তারেক রহমানকে। তাদের টার্গেট ছিল, শারীরিক ভাবে তারেক রহমানকে পঙ্গু করে তাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করে দেয়া।
কথায় আছে, রাখে আল্লাহ মারে কে? চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় পান তিনি। একটি জাতির সমৃদ্ধির স্বপ্ন তথা আশার আলো নিভু নিভু করে জ্বলতে শুরু করলো। কিছুটা সুস্থ হলে পুনরায় তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন দেশের বাইরে থেকেই।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অবৈধ সরকারের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে কারারুদ্ধ অবস্থায় শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তিনি। প্রকৃত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল” তথা বিএনপির চোখে স্বপ্ন দেখতে থাকে “বাংলাদেশ”।
২০০৭-এর সামরিক শাসকরা আঁতাত করে আওয়ামীলীগের প্রধান শেখ হাসিনার সাথে। ২০০৮ এর ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগকে পরিকল্পিত ভাবে ক্ষমতায় বসান ১/১১-এর কুশীলবরা। শুরু হয় দেশের গণতন্ত্র হরণ। পিলখানা হত্যাযজ্ঞ দিয়ে যার হাতেখড়ি।
এরপরে দশক ধরে চলে বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উপর নারকীয়-বর্বর নির্যাতন।দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চায় দেশবিরোধী সেই কুচক্রী মহল। কিন্তু তারেক রহমানের সুদৃঢ় ও দূরদর্শীতা সম্পন্ন নেতৃত্বে দলটি মরুর বুকে তরু হয়ে ইস্পাতসম মনোবল নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে।
দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রসংগঠন “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের”সাংগঠনিক অভিভাবকের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক উপায়ে গ্রহণ করেন তিনি।গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে তৃণমূলকে উজ্জীবিত করতে নানা ধরনের কর্মসূচি নেন। “জিরো ডেমোক্রেসিতে” রূপান্তরিত হওয়া একটি দেশ নতুন করে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। জনগণ বিশ্বাস করতে থাকে জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী আবারও তাদের মুক্তির স্বাদ ফিরিয়ে দিবেন।
শুরু হলো দেশীয় ও বৈদেশিক নানা ষড়যন্ত্র। নানাভাবে তারেক রহমানকে দুর্নীতিগ্রস্থ হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী সরকার এখন মুখোশধারী এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছেন।তারা তারেক রহমানের দুর্নীতির তথ্য না দিতে পেরে বিএনপি থেকে তাকে মাইনাস করার পাঁয়তারা করছে যা জনগণের কাছে স্পষ্ট।
সাম্প্রতিক কিছু আদর্শচ্যুত গণমাধ্যম ও ক্ষমতালোভী মুখোশধারী এজেন্ট হাস্যকর ভাবে দেশনায়ক তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে অবসরের উপদেশ দিচ্ছেন। বয়সে অনেকেই তারেক রহমানের পিতৃতুল্য কিন্তু রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতা ও দূরদর্শিতায় তারেক রহমানের কাছে তারা নিতান্তই সদ্যপ্রসূত শিশু। ক্ষমতার গোলামী করতে করতে তারা অন্ধপ্রায়। একটি জাতি সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছে তারেক রহমানকে কেন্দ্র করে,তারা তা দেখেও না দেখার ভান করছেন।
বাংলাদেশ জানে, তারেক রহমান রক্ত ও আদর্শে একজন যোগ্য উত্তরসূরি। এদেশের মানুষ মনে প্রাণে বিশ্বাস রাখে তারেক রহমানের নেতৃত্বে, আস্থা রাখে তার সাংগঠনিক দক্ষতায়, তাদের আশা ভরসার একমাত্র আশ্রয়স্থল
লেখকঃ সাইফ মাহমুদ জুয়েল
সাংগঠনিক সম্পাদক,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।