খান মোহাম্মাদ জুয়েল: গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরিশালের বাকেরগঞ্জ ভোট কেন্দ্র থেকে ভোটারদের তাড়িয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীর ক্যাডারদের কেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনিয়ে প্রকাশ্যে সিল মারার অভিযোগ উঠেছে।
বরিশাল বাকেরগঞ্জের ৩ নং দাড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনটি ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোটারদের তাড়িয়ে দেয় আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম এর দলীয় কর্মী ও ভাড়াটে ক্যাডার বাহিনী। এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ভোটার এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা অন্যান্য প্রার্থীগণ।
নির্বাচনে অংশ নেয়া অনন্য প্রার্থী ও ভোটারগণ জানান, সকালে ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চলছিল, হঠাৎ করেই নৌকা সমর্থিত প্রার্থী শহিদুল ইসলামের দলবল দাড়িয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাড়িয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয় ( বড় হাজী বাড়ি) ও বামনীকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এই তিনটি ভোটকেন্দ্রে একযোগে প্রবেশ করে এবং প্রিজিটিং, পুলিং অফিসার সহ দায়িত্বরত প্রশাসনের চোখের সামনে ব্যালটে সিল মেরে ব্যালট বক্স পূর্ণ করেন। এসময় পোলিং এজেন্টরা অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় ছিলোনা। ব্যালট ছিনতাই করে আওয়ামীলীগপ্রার্থী শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের কর্মীবাহিনীর সিল পিটানোর এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সমর্থন পেয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম হাওলাদার সে সময় ভোটের আগের রাতে ইউনিয়নের নাম ওয়ার্ডে অগ্রিম ব্যালটে সিল পিটাতে গিয়ে স্থানীয় জনতার রোষানলে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
ভোট কেন্দ্র দখল ব্যালটে সিল মারার এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাধুবি রায় মুঠোফোনে জানান, এরকম কোনো অভিযোগ তাদের জানা নেই।
দলীয় প্রভাবমুক্ত ও সচ্ছ পরিচ্ছন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও নৌকার সমর্থিত প্রার্থীর এমন সন্ত্রাসী আচরণ সরকারের নির্দেশকে লংঘন করে জনগণের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সচ্ছ ও নিরপেক্ষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণাকে কালিমা লেপণ করেছে বলেই মনে করছেন জনসাধারণ সহ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীগণ।