সোনা চুরি মামলায় কাস্টমসের ৭ সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট
আপরাধ প্রতিবেদকঃ বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ভোল্ট ভেঙে ২০ কেজি সোনা চুরি মামলায় কাস্টমসের ৭ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে আজ বিকেলে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চার্জশিট দাখিল করেন আদালতে।
অভিযুক্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা হলেন- সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ বিশ্বনাথ কুন্ডু, কাস্টমস হাউজের সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুল সরদার, সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম মৃধা, সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ আর্শাদ হোসাইন, বেনাপোল কাস্টমসের বেসরকারি কর্মী আজিবার রহমান মল্লিক, শাকিল শেখ ও সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ মোহাম্মদ অলিউল্লাহ। প্রত্যেক কাস্টমস কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয় ঘটনার পর তদন্তকালীন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর রাতের যেকোনো সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের ২য় তলার গোডাউনের তালা ভেঙে চোরেরা ভেতরে যায়। পরে ভোল্টের তালা ভেঙে ১৯ কেজি ৩শ’ ১৮ দশমিক ৩ গ্রাম সোনা চুরি করে নিয়ে যায়। যার মূল্য ১০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। মূল্যবান এ ভোল্টের চাবি ছিল তৎকালীন ভোল্ট ইনচার্জ শাহিবুলের কাছে।
গোডাউনের অন্যান্য লকারে স্বর্ণ, ডলার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল। সেগুলো চুরি যায়নি। ভোল্ট ভাংগার সময় কাস্টমস হাউসের সব ক’টি সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিলো।
১২ নভেম্বর সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা এমদাদুল হক বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে চুরি মামলা করেন বেনাপোল পোর্ট থানায়।
কর্তৃপক্ষ ভোল্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ভোল্ট ইনচার্জ শাহিবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি পুলিশ।
ধারাবাহিকভাবে ভোল্টের দায়িত্ব প্রাপ্ত ৭ কর্মকর্তাকে আটক করেন পুলিশ। সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন।