যাত্রীবাহী লঞ্চ চালুর খবরে সারাদেশে নদী বন্দরে আনন্দের জোয়ার
বিশেষ রিপোর্টঃ দীর্ঘ দেড়মাস পর সোমবার থেকে আবারও সারা দেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু হচ্ছে। আজ রবিবার সরকারি ঘোষণার পরপরই দেশের বিভিন্ন নদী বন্দরে নোঙ্গর করে রাখা যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ধোয়া মোছা শুরু হয়।
ছুটিতে থাকা কর্মীচারীদের দ্রুত কর্মস্থলে ফিরতে বলা হয়েছে। দীর্ঘ ৪৬ দিন পর লঞ্চ চালুর খবরে আনন্দের বন্যা বইছে নদী বন্দরের নৌযান শ্রমিকদের মাঝে।
তবে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। লঞ্চ মালিক-শ্রমিক এবং সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশে
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার সারা দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। পরদিন ৬ এপ্রিল থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এতে নৌযান শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে গত দেড় মাস ধরে। লঞ্চ চালুর দাবিতে তারা বরিশাল এবং চাঁদপুর নদী বন্দরে বিক্ষোভ করে। লঞ্চ মালিকরাও গত শনিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে লঞ্চ চালুর দাবি জানান।
মালিক-শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার এক ঘোষণায় সোমবার থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহি নৌযান চালুর ঘোষণা দেয়।
এতে আনন্দের জোয়ার বইছে দেশের নদী বন্দরের শ্রমিক-মালিকদের মাঝে। সরওর পরপরই নদী বন্দরে নোঙ্গর করা রাখা নৌযানগুলো ধোয়া মোছার কাজ শুর হয়। বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া শ্রমিকদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। লঞ্চ চালু হলে শ্রমিকরা কোনমতে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবে বলে জানান নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশালের সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আগামীকাল (সোমবার) থেকে যাত্রীবাহী নৌযান চালুর সরকারি সিদ্ধান্তের খবর তিনি শুনেছেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে লঞ্চ চলাচল করে সেই ব্যবস্থা কথা বলেন তিনি।
এদিকে বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, দীর্ঘ দেড় মাস পর যাত্রীবাহী লঞ্চ চালুর খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তির। তবে মালিক-শ্রমিক এবং বিআইডব্লিউটিএ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন শৈথিল্য হলে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
বরিশাল-ঢাকা রুট সহ সারা দেশে যাত্রীবাহী ৭শ’ নৌযান রয়েছে। এতে কাজ করছে অন্তত ২০ হাজার নৌযান শ্রমিক।