আধুনিক সাংবাদিকতার আইকন নঈম নিজাম – ওবায়দুল হক খান
আধুনিক সাংবাদিকতার আইকন, সাংবাদিক জগতের অন্যতম দিকপাল শ্রদ্ধেয় নঈম নিজাম ভাইয়ের একদিন সৃষ্টি হয়নি। তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন সফল সাংবাদিকের নাম নঈম নিজাম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দৃঢ় বিশ্বাসী তিনি। আমার জানা মতে তিনি নীতি কিংবা আদর্শের কাছে কখনও মাথা নতো করেননি।
নঈম নিজাম ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় আশির দশকের শেষ দিকে। তিনি যখন নিউজ মিডিয়া নাম একটি নিউজ এজেন্সি চালতেন। আমি, বন্ধু শাবান মাহমুদ, সোহেল সানি, মরহুম আরিফ তার নিউজ মিডিয়ায় কাজ করতাম। আমি অনিয়মিত নিউজ লিখতাম। আজ থেকে প্রায় ৩২/৩৩ বছর আগের কথা। তখন আমি তার অনুপ্ররনা পেয়ে ছিলাম সাংবাদিকতা পেশায়। সেই নঈম নিজাম চড়াও উৎরাই পেরিয়ে দীর্ঘ তিন যুগেরও বেশি সময় সততা ও সাহসীকতার সাথে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিফোনে সাংবাদিক করে আজ তিনি দেশের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিকের সফল সম্পাদক, যার হাত ধরে সাংবাদিকতায় আমার পথ চলা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বীর কলম সৈনিক, জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক,আমার পরম শ্রদ্ধেয় অভিভাবক নঈম নিজাম। এ নঈম নিজাম এক দিন তৈরি হয়নি।
তার সফলতা তার অর্জনের ফসল। তার সফলতায় ইশ্বান্নিত হয়ে কতিপয় বর্নচোরা তার পাহাড় সমান সফলতাকে নস্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যাদের নঈম নিজাম ভাইয়ের পায়ের নখের যোগ্যতাও নেই, সেসব ব্যক্তি চোরের মতো অনলাইনে কুৎসা রটাচ্ছে। নঈম নিজামের তুলনা শুধু নঈম নিজাম ভাইই। তার সহধর্মিণী মিসেস ফরিদা ইয়াসিন আফ্রো এশিয়ার প্রথম কোন নারী সাংবাদিক যিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের মতো সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাব এডিটর। যাতে আমি চিনি আশির দশকে যখন তিনি দৈনিক বাংলার বানীর সাব এডিটর। অামি তখন বাংলার বানীর মঠবাড়ীয়া থানা প্রতিনিধি। তিনিও তার কর্মদক্ষতায় এবং দলের মধ্যে ও দলের বাহিরের শত প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে, আজ জাতীয় প্রসক্লাবের মতো প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার সফলতয় কারও কারও গাত্র দাহ হচ্ছে। এরা কারা সাংবাদিক সমাজ ও এদেশের মানুষ তাদের মুখোশ উন্মোচন করবেন।
নঈম নিজাম ভাই ও ফরিদা ইয়াসিন অাপা অাপনাদের পাশে আমার মতো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হাজার হাজার মুজিব অাদর্শের খাঁটি সৈনিকরা ছিলাম, অাছি থাকবো।
তার দুজনই বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা আপা,শেখ রেহানা আপা, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ইস্পাত কঠিন দৃঢ় আপোষহীন।
১/১১ এর তথাকথিত সেনা শাসিত তত্বাবধাযক সরকারের সময় আমার প্রানপ্রিয় নেতা আমার রাজনৈতিক পথ প্রদর্শক আওয়ামী লীগের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ভাইয়ের নির্দেশনা ও পরামর্শে আমি যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করে জীবনের শত ঝুকি উপেক্ষা সাংবাদিকদের সাক্ষর সংগ্রহ করে ছিলাম। সে সময় অবিসংবাদিত সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর অনুপ্রেরনা যুগিয়ে ছিলেন তখন মরহুম হাবিবুর রহমান মিলন,মরহুম গোলাম সারওয়ার, মরহুম রাহাত খান, মন্জুরুল আহসান বুলবুল, এহসানুল করিম হেলাল ভাই,স্বপন সাহা,মরহুম আলতাফ মাহমুদ, মরহুম শাহ আলমগীর ভাই, নঈম নিজাম ভাই, সাইফুল আলম ভাই, আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, শ্যামল দত্ত, সুভাষ চন্দ্র বাদল, শাবান মাহমুদ, শামীম আহমেদ ভাবে সাহস জুগিয়ে ছিলেন।
যখন নেত্রীর মুক্তি দাবীনামায় সাক্ষর সংগ্রহের জন্য দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে গিয়েছিলাম। তখন নঈম নিজাম ভাই আমাকে আমার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আমার প্রশংসা করে, ঐ সময় হাউজে দ্বায়িত্বরত সকল সাংবাদিকদের ডেকে নেত্রীর মুক্তি নামা দলিলে সাক্ষার দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সাক্ষর দিতে আহবান জানান। তিনি দলের নিবেদিত প্রান। নেত্রী, বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে নঈম নিজাম ভাই আপোষহীন।
৩ দশকের সাংবাদিক জগতের তুমুল জনপ্রিয় এই ব্যাক্তিত্বের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় পেশাদারিত্বের প্রতি তার দায়িত্বশীল ভূমিকা আমি দেখেছি। আমার সাংবাদিকতার শুরু তার হাত ধরেই। নব্বই এর গোড়ার দিকে দৈনিক লাল সবুজ পত্রিকা ও পরবর্তীতে নিউজ মিডিয়ায় আমার কাজ করার নেপথ্যেও নঈম ভাইই ছিলেন অগ্রনী ভূমিকায়।
দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকা প্রকাশে এই খ্যাতিমান সম্পাদক কাজ করেছেন নেপথ্য কারিগরের ভূমিকায়।
২০০১ পরবর্তী সময়ে দেশে যখন মাত্র ৩টি টিভি চ্যানেলের অস্তিত্ব তখন তিনি বার্তা বিভাগ সাজাতে দায়িত্ব নেন এটিএন বাংলার। নিশ্চয়ই টিভি রিপোর্টারদের স্মৃতি এতো দুর্বল নয়।
এই টেলিভিশনে রিপোর্টারদের অভাবনীয় বেতন বৃদ্ধি হয় তার হাত ধরেই। সাংবাদিকদের জীবনমান বৃদ্ধির পাশাপাশি মিডিয়া শিল্পকে আধুনিক শিল্পে রুপ দিতে একজন নঈম নিজামের ভূমিকা অনন্য।
বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ মিডিয়ার বিভিন্ন শাখায় নঈম নিজামের ভুমিকাতেই কর্ম সংস্থানের সূযোগ পেয়েছেন কয়েকশ মিডিয়া কর্মী। এটা সূর্যের আলোর মতো সত্য।
একজন নঈম নিজাম মিডিয়াকে বিকশিত করার এক অনন্য কারিগর। আমি তাঁর সর্বাঙ্গীন সার্থকতা কামনা করছি …..।
ওবায়দুল হক খান
জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য
ও সিনিয়র সাংবাদিক।