খাল খননের নামে কী হয় জানি, সাবধান – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধান প্রতিবেদকঃ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার (৪ মে) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- ১ হাজার ১৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা খরচে ‘চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ’ প্রকল্প এবং ১ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা খরচে ‘তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প।
একনেক সভায় প্রকল্প দুটির বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে খাল খননের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবধান হতে সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ার করেছেন।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে খাল খনন প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘সাবধান! খাল খননের নামে যেসব কাণ্ড হয়! এটা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জানেন। আমরাও সবাই মোটামুটি জানি। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, সেচে সেচে উপরের দিকে দেখিয়ে…। মানে দেখাবার একটা প্রবণতা আছে। সেদিকে আমাদেরকে তিনি সাবধান করেছেন।’
একনেকে প্রধানমন্ত্রী আরও কিছু অনুশাসন তুলে ধরেছেন। তার একটি হলো সরকারি সংস্থাগুলোকে নিজেদের খরচে চলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি সংস্থা, যেগুলো ব্যবসার জন্য স্থাপিত হয়েছে, যেমন বিটিসিএল, বিমা, ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স – এগুলো তো নামেই কোম্পানি। তারা যেন নিজেরা নিজেদের খরচ চালাতে পারে। আমরা কতদিন এখান (সরকারি কোষাগার) থেকে টাকা দিয়ে দিয়ে তাদেরকে চালাবো। এটা ইকোনমিক্যালি (অর্থনৈতিকভাবে) গ্রহণযোগ্য নয়। এটা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আজকে আবার মূল্যায়ন করেছেন।’
আজকে একনেক সভায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন’ প্রকল্পের সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনীতে প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনীতে ১৯৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা খরচ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। সংশোধনীতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কাজ শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলছে এটা, তাড়াতাড়ি শেষ করুন। আর কত দিন নেবেন?’
উপজেলা পর্যায়ে যেসব স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে, তা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল নামে যে স্টেডিয়ামগুলো করা হবে, সেখানে তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। নো রিজার্ভ। কোনো ক্লাবের বা ব্যক্তির আওতায় থাকবে না। ইউএনওরা দেখভাল করতে পারবে। কিন্তু সবাই খেলার অধিকার পাবে। সেটা উন্মুক্ত রাখতে হবে এবং বসার জায়গাও রাখতে হবে। এভাবে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) চাচ্ছেন।’