সব মামলায় জামিনের মেয়াদ বাড়ালেন সুপ্রিম কোর্ট

PicsArt_04-14-08.47.13.jpg

সব মামলায় জামিনের মেয়াদ বাড়ালেন সুপ্রিম কোর্ট

আদালত প্রতিবেদকঃ করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাবে চলমান লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন মামলায় আসামিদের জামিনের মেয়াদ ও আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের কার্যকারিতা আরও ৪ সপ্তাহ বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

আজ রবিবার (২ মে) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন প্রদান করা হয়েছে, বা যে সব মামলায় উচ্চ আদালত হতে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে, অথবা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্তবর্তীকালীন আদেশ প্রদান করা হয়েছে; সেসব মামলার জামিন এবং সব ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসমূহের কার্যকারিতা আগামী ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল ও ১৮ এপ্রিল পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে সব আসামির জামিন ২ সপ্তাহ করে বৃদ্ধি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, প্রাদুর্ভূত মহামারি (কোভিড-১৯) এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উক্ত সময়ে (সাপ্তাহিক ছুটি ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০২১ সালের বর্ষপঞ্জিতে ঘোষিত ছুটি ব্যতীত) বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা-“আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০” এবং অত্র কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত এতদসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ হতে প্রদত্ত জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিননামা দাখিল করতে হবে।’

এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top