নূর নবী চৌধুরীকে গুলি ও মারধোর – কাদের মির্জার সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

PicsArt_04-21-10.12.34.jpg

নূর নবী চৌধুরীকে গুলি ও মারধোর – কাদের মির্জার সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর নবী চৌধুরীর (৬৬) ওপর হামলার ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মিকনকে (৪২) প্রধান আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান।

এছাড়া এ মামলায় দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে যুবলীগ কর্মী কাদের মির্জার অনুসারী শহীদ উল্যাহ রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেলকে (৩৪), তৃতীয় আসামি করা হয়েছে কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের ওরফে তাশিক কাদেরকে (২৫) এবং চতুর্থ আসামি করা হয়েছে কাদের মির্জার ছোটভাই সাহাদাত হোসেনকে (৫৩)। এর বাইরেও আরও ৩১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূর নবী চৌধুরীকে গুলি করে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কাদের মির্জার অনুসারীরাদের ওপর।

পরে, একই দিন দুপুর পৌনে ২টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাদল এ হামলার জন্য বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাই সাহাদাত হোসেন, ছেলে তাশিক মির্জা এবং কেচ্ছা রাসেলসহ আরও কয়েকজন সন্ত্রাসীকে দায়ি করেন। কাদের মির্জার নির্দেশে এ হামলা হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।

আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরীকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) প্রেরণ করা হয়। বিকাল ৪টায় ডাক্তারের উদ্ধৃতি দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিল্পপতি নাজমুল হক নাজিম জানান, ডান পায়ের হাঁটুর জয়েন্ট ছুটে নিচে নেমে গেছে তার। ডান হাতের দুটো আঙুল ভেঙে গেছে। হাঁটুর নিচে একটি পায়ে ছয়টি ভাঙা পড়েছে। তবে এক্স-রে-তে পায়ে কোনও গুলি বা গুলির চিহ্ন দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পায়ের একটি স্থানে লোহার রড ঢুকে বড় একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। তবে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জার অনুসারী ৭ জনকে আটক করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top