রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কলিমউল্লাহ’র বিরুদ্ধে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’র টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কলিমউল্লাহ’র বিরুদ্ধে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’র টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

অপরাধ প্রতিবেদকঃ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে এবার বিধি বহির্ভূতভাবে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’ বৃত্তি প্রদানের নামে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পিএইচডি গবেষক রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিশেষ পিপি খন্দকার মো. রফিক হাছনাইন ইউজিসি চেয়ারম্যান ও দুর্নীতি দমন কমিশনে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

শনিবার (২০ মার্চ) ইউজিসি ও দুদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট রফিক হাছনাইন।

ইউজিসি ও দুদকের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে উচ্চতর গবেষণার জন্য ইউজিসি বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ বৃত্তি দেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে। ইউজিসির আওতাধীন এ বৃত্তি প্রদানের সার্কুলার হলেও করোনাকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি এ বিষয়ে স্থানীয় বা জাতীয় কোনও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়নি। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জন্য ব্যবহৃত ‘হোয়াটসঅ্যাপ’- গ্রুপেও এ বিষয়ে কোনও ঘোষণা না দিয়ে শুধুমাত্র ওয়েবসাইটে নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। তবে এতে আবেদনের শেষ তারিখ উল্লেখ না করেই সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূতভাবে ভিসি ও রেজিস্ট্রার তাদের পছন্দের কিছু খণ্ডকালীন গবেষকদের অবৈধ চক্র তৈরি করে উৎকোচ প্রদানকারীদের মধ্যে বৃত্তি দিয়েছেন।’

লিখিত অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ‘ইউজিসির বিধিমালা অনুযায়ী কোনও খণ্ডকালীন গবেষকদের বৃত্তি পাওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এটা অগ্রাহ্য করায় আর্থিক অনিয়ম সাধিত হয়েছে। ভিসি ও রেজিস্ট্রার বেআইনিভাবে কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে গোপনে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে বলে প্রমাণ হয়। এক্ষেত্রে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগে ফৌজদারি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। যা তদন্ত করা আবশ্যক।’ অন্যথায় দেশের আর্থিক ক্ষতিসহ ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে বলে লিখিত অভিযোগে জানান তিনি।

এ বিষয়ে পিএইচডি গবেষক খন্দকার মো. হাছনাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে শনিবার বিকালে তিনি এ প্রতিনিধির কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার জন্য যে বৃত্তি দেওয়া হয়, ইউজিসির আইন ও বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপের বিধি অনুযায়ী তা শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য। কোনও খণ্ডকালীন গবেষক কখনও বৃত্তিপ্রাপ্ত হওয়ার সুযোগ রাখে না। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্ট্রার এ বিষয়ে চরম অন্যায় ও স্বজনপ্রীতি করেছেন। সরকারের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য এটা করা হয়েছে।

কেমন উপাচার্য তারা?
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউজিসি ছাড়া দুদকেও অভিযোগ করেছি। দ্রুত এর প্রতিকার না পেলে আদালতে তাদের (ভিসি ও রেজিস্ট্রার) বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top