জেলেদের জন্য ২৬ হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দিয়েছে সরকার
বিশেষ প্রতিবেদকঃ জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২৬ হাজার ৩০৫.২০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্ধ করেছে সরকার।
দেশের ২০ জেলার জাটকা সম্পৃক্ত ৯৮টি উপজেলায় ৩ লক্ষ ২৮ হাজার ৮১৫টি জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর আওতায় ১ম ধাপে ফেব্রুয়ারি-মার্চ দুই মাস প্রতিটি নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি হারে (২ মাসে ৮০ কেজি) চাল প্রদান করা হচ্ছে।
আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ভিজিএফ চাল ২২ মার্চ ২০২১ তারিখের মধ্যে যথানিয়মে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর, শ্রীনগর, লৌহজং, টঙ্গিবাড়ী ও গজারিয়া, ফরিদপুর জেলার সদর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসন, রাজবাড়ি জেলার সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও গোসাইরহাট, মাদারীপুর জেলার সদর, কালকিনি ও শিবচর, চট্টগ্রাম সদর, বাঁশখালী, সীতাকুন্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা ও মীরসরাই, ফেনী জেলার সোনাগাজী, নোয়াখালী জেলার সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর, রামগতি, রায়পুর ও কমলনগর, চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ, বাগেরহাট জেলার সদর, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, রামপাল, চিতলমারি, শরণখোলা ও ফকিরহাট, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, চৌহালি, বেলকুচি, কাজীপুর ও শাহজাদপুর, বরিশাল জেলার সদর, মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুর, গৌরনদী ও বাকেরগঞ্জ, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী ও কাউখালী, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, রাঙাবালি, মির্জাগঞ্জ, দশমিনা ও দুমকি, ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমদ্দিন ও মনপুরা, বরগুনা জেলার সদর, আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী এবং ঝালকাঠি জেলার সদর, কাঁঠালিয়া, নলছিটি ও রাজাপুর।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর ০১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ০৪ (চার) মাস জাটকা আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের সরকার মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।