ভোলা জেলা ছাএদল সভাপতির বিরুদ্ধে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ
জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ নুরে আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন এর পদ বাণিজ্যের কারনে ভোলা জেলার ১৯টি ইউনিটের তৃণমূলের ত্যাগী কর্মীরা দীর্ঘদিন হামলা মামলায় নির্যাতিত হওয়ার পরেও তারা কমিটিতে স্থান পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাএদল সভাপতি নুরে আলমের বিরুদ্ধে। এর আগে ১৬ টি ইউনিট এবং গতকালের ৩টি নতুন কমিটি সহ মোট ১৯ টি ইউনিটের কমিটি অনুমোদন ঘোষণা করেন বর্তমান ভোলা জেলা ছাএদলের সভাপতি ও সম্পাদক।
গতকাল শুক্রবার (১৮ই ডিসেম্বর) বিকেলে ভোলা সদর উপজেলা শাখা, ভোলা পৌর শাখা ও ভোলা সরকারী কলেজ শাখা ছাএদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্বের মত এসব কমিটিতেও একই ভাবে অর্থ বাণিজ্য ও এবার নিজের এলাকার প্রার্থীকে বেছে নিয়ে কমিটি ঘোষণা দেন জেলা ছাএদল সভাপতি।
এর সূএ ধরে সদ্য ঘোষিত হওয়া ভোলা জেলা সদরের তিনটি কমিটির পদ প্রত্যাশীরা, যারা দীর্ঘকাল শত হামলা মামলায় নির্যাতিত। তারা সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোলা জেলা ছাএদল সভাপতি নুরে আলম কে বেধরক মারধর করে। মাধরের এক পর্যায়ে দিশেহারা হয়ে নুরে আলম রাস্তার পাশের পুকুরে লাফ দিয়ে নিজেকে বাচাতে চেষ্টা করে। পরে লোকজন এসে নেতাকর্মীদের কিছুটা শান্ত করে আলমকে উদ্দার করে। শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০ টায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায় স্থানীয় সূত্রে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোলা সদর থানা শাখা, পৌর শাখা ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের একাধিক পদ প্রত্যাশী ছাএদল কর্মীরা বলেন, জেলা ছাএদল সভাপতির অনেক অনিয়ম সহ্য করেছে নেতাকর্মীরা। ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করায় আজকে রাতে ভোলা সদরের সকল ত্যাগী ছাত্রনেতারা জেলা ছাএদল সভাপতি নুর আলমকে আটকে রেখে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো মারতে থাকে পরে সে মাইরের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে দৌড়ে গিয়ে পুকুরে পরেন। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পরে বাশ দিয়ে পুকুরে ফেলে মারতে থাকে এক পর্যায়ে লোক জন এসে তাকে গুরুতর অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে জানতে ভোলা জেলা ছাএদল সভাপতি নুরে আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং ভোলা জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর কে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক ইতিমধ্যে ভোলা জেলায় ১৬টি কমিটি ঘোষনা করার পেছনে অর্থের ভাগ বাটোয়ারা করেছে বলেও জোরদার অভিযোগ উঠেছে পূর্বে। ওই সময় ভোলা জেলা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষাদগার ও সংবাদ সম্মেলন করেছে পদ বঞ্চিত ছাত্রদলের ত্যাগী নেতৃবৃন্দরা।
এমনকি অর্থের বিনিময়ে কমিটি ‘মানবো না’ এমন ব্যানারে মানববন্ধনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোলা জেলার দৌলতখান, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা ও কলেজ ছাএদলের কমিটিগুলো সহ প্রায় সবগুলো ঘোষিত কমিটি নিয়ে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও শীর্ষ নেতা মোঃ নুরে আলমের সাথে রফাদফা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে এবং ওই সময় এসব অভিযোগের ভিওিতে ছাএদলের বরিশাল বিভাগীয় টিম লিডার মোঃ জাকির কে বহিষ্কার করা হয়েছে।